খাগড়াছড়ি হত্যাকাণ্ডে সিএইচটি কমিশনের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ

0

ঢাকা : গত শনিবার খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন(সিএইচটি কমিশন)।

গতকাল রবিবার (১৯ আগস্ট ২০১৮) সংবাদ মাধ্যম ও নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজারে ইউপিডএফের উদ্যোগে এক কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতিকালে সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা ও পথচারীসহ কমপক্ষে ৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সংকটাপন্ন দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  প্রেরণ করা হয়েছে। একই দিন অপর এক ঘটনায় আরেকজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে গত ৯ মাসে কমপক্ষে ৩০টির অধিক খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নারী শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। পাহাড়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন সঙ্কটময় অবস্থায়ও স্থানীয় প্রশাসনের দিক থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুশাসনের অভাব ও বিচারহীনতার পরিবেশ অব্যাহত থাকায় সেখানে অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, খাগড়াছড়ি বিজিবি হেডকোয়ার্টার থেকে মাত্র কয়েকশ গজ দূরে এতবড় একটা হত্যাকাণ্ড ঘটানো কিভাবে সম্ভব? প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্বৃত্তরা হামলার পর অস্ত্র উঁচিয়ে বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে দিয়ে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি  সড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে হেঁটে চলে গিয়েছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে এই দুর্বৃত্তরা কাদের ছত্রছায়ায় এমন উদ্যত উন্মত্ততা দেখাতে সাহস পাচ্ছে।

বিবৃতিতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায়  আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। একই সাথে আহতদের চিকিৎসার জন্য যথাযথ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিহতদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন কমিশনের কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল, এলসা স্টামাতোপৌলো ও মির্না কানিংহাম কেইন।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More