চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মানববন্ধনে পুলিশ ও জেএসএস সন্তু গ্রুপের বাধা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মানববন্ধন কর্মসূচীতে পুলিশ ও জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের লোকজন বাধা দিয়েছে। আজ ২৯ জুলাই শুক্রবার সকাল ১১টায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে ও সংখ্যালঘু জাতিসমূহের ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে উক্ত কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রামে বসবাসরত শত শত পাহাড়ি নারী পুরুষ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে এই মানববন্ধনে যোগ দেন। এছাড়া কর্মসূচীর সাথে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি এডভোকেট ভুলন ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমীর আব্বাস, নয়া গণতান্ত্রিক গণ মঞ্চের নেত্রী ইসরাত জাহান ছোটন, লেখক-গল্পকার আহমেদ জসিম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি পারভেজ লেনিন, ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমা, ছোটন তঞ্চঙ্গ্যা ও রিকো চাকমা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কণিকা দেওয়ান।
বন্দরের রাস্তার মাথা মসজিদের সামনে থেকে ব্যারিস্টার কলেজ পর্যন্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তারা সরকারের সদ্য পাস করা পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।পুলিশ ও সন্তু গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা মানববন্ধন ভন্ডুল করে দিতে নানাভাবে চেষ্টা চালায়। সকাল সাড়ে এগারটার দিকে পুলিশ এসে মানববন্ধনকারীদের কাছ থেকে ব্যানার ও প্যাকার্ড কেড়ে নেয় এবং তাদেরকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এ সময় পুলিশের আচরণ ছিল মারমুখী।
এর আগে রাত ৯টার দিকে পাভেল চাকমার নেতৃত্বে সন্তু লারমার লোকজন কতিপয় বাঙালি ছেলের সহায়তায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বন্দর থানা শাখার অর্থ সম্পাদক জিতেন চাকমাকে নিউ মুরিং মোড় থেকে অপহরণ করে। এ সময় জিতেন চাকমা মানববন্ধন কর্মসূচীর হ্যান্ডবিল বিলি করে বাড়ি ফিরছিলেন। অপহরণকারীরা পরে তাকে র্যাবের হাতে তুলে দেয় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জিকো মারমা ও বন্দর শাখার সভাপতি বিজয় চাকমা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচী বানচাল করতে পুলিশ, র্যাব ও সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের অপতত্পরতাকে চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে অপহৃত জিতেন চাকমাকে মুক্তি দেয়ারও দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এভাবে দমন পীড়ন চালিয়ে পাহাড়ি জনগণের মুখ বন্ধ করা যাবে না। তারা অবিলম্বে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সংখ্যালঘু জাতিসমূহের ন্যায্য অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান।