দীঘিনালায় আটক এক কলেজ ছাত্রীসহ ১১ জনকে কারাগারে প্রেরণ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Arrest-1খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে গতকাল রবিবার (১৫ মার্চ) বিকালে মিইনী ব্রীজ এলাকা থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক ১১ জনকে আজ সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে দীঘিনালা কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীও রয়েছে।

সোমবার সকালে তাদেরকে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে  তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

আটককৃতরা হলেন বোয়ালখালী ১নং যৌথ খামারের শান্তি বিকাশ চাকমা(২২), তারাবনিয়ার শ্যামলেন্দু চাকমা(৩১), পুর্ণরাজ চাকমা(২৭), অনিল বিকাশ চাকমা(২২), ডুলুছড়ির চুকলু চাকমা(১৮), সাধন বিকাশ চাকমা(১৮), বাবুছড়া নোয়াপাড়ার সুমন চাকমা(২২), রিপন চাকমা(২৫), উত্তর মিলনপুরের রূপকুমার চাকমা(৩৭), চোংড়াছড়ি সুশীল হেডম্যান পাড়ার ভাগ্যধন চাকমা(২৩), কামুক্যাছড়ার দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী লীলু চাকমা(১৮) ।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দীঘিনালা থানার মামলা নং-০২, ধারা- ১৪৩/৩৪২/ ৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/১১৪/১০৯ দ: বি:।

প্রসঙ্গত, বিজিবি ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর অন্যত্র স্থানান্তর, উচ্ছেদ হওয়া ২১ পাহাড়ি পরিবারকে নিজ জমিতে পুনর্বাসন ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। গতকাল রবিবার (১৫ মার্চ) এ কর্মসূচি চলাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নুঅ পাড়া (কার্বারী টিলা) এলাকায় বাধা দেয়। এতে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিবাদ জানালে সেনারা তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ ঘটনার পর দীঘিনালা থানা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মো:ইসরাফিল মজুমদার বাদী হয়ে দীঘিনালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা, ৪নং দীঘিনালা ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্ব কল্যাণ চাকমাসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০/৮০০ জন পাহাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরপর বিকালে সেনাবাহিনী বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় চালায়। এসময় পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে মিইনী ব্রিজ এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে উক্ত ১১ জনকে আটক করা হয়।
————————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More