দীঘিনালায় শহীদ অনিমেষ চাকমার ভাই নিউটন চাকমাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক ও পুলিশে সোপর্দ

0

দীঘিনালা : দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর একটি দল বাবুছড়া থেকে ইউপিডিএফ নেতা শহীদ অনিমেষ চাকমার ছোট ভাই এনজিও কর্মী নিউটন চাকমাকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে নিজবাড়ি থেকে আটক করেছে। দুই ঘন্টা আটকে রাখার পরে তাকে দীঘিনালা পুলিশের হাতে গছিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ তাকে সারারাত থানায় আটকে রেখে দীঘিনালা ও বাবুছড়া চেয়ারম্যানদ্বয়ের লিখিত মুচলেকায় আজ শুক্রবার দুপুরে ছেড়ে দেয়া হয়ে বলে খবর পাওয়া গেছে।

Dighinala02জানা গেছে, বাবুছড়ায় ১৯৯৯ সালের দিকে সেটলার হামলার পরে বাবুছড়া এলাকাবাসী পুরাতন বাবুছড়া বাজার বয়কট করে নতুন একটি বাজার স্থাপন করে। তপন চাকমা নামে একজনের ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় উক্ত বাজার স্থাপন করা হয়। উক্ত বাজারে মোট ৬১ টি প্লট রয়েছে। তপন চাকমা তার মালিকানাধীন উক্ত প্লটসমূহ দোকানদারদের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে সর্বমোট ২২ লাখ টাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করেন। নিউটন চাকমা গতকাল বৃহস্পতিবার তপন চাকমার পক্ষ হয়ে প্লট বিক্রয়ের শেষ কিস্তির মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দোকানদারদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। উক্ত উত্তোলিত টাকার কথা সেটলারদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কানে গেলে সেনাবাহিনীর বাবুছড়াস্থ একটি টিম নিউটন চাকমাকে তার বাড়ি ঘেরাও করে আটক করে।আটককালে সেনাবাহিনী তাঁর কাছ থেকে সরাসরি উক্ত টাকার কথা জিজ্ঞেস করে। এসময় নিউটন চাকমাকে আটকের প্রতিবাদে তার আত্মীয় শুধাংশু চাকমাও সেনাবাহিনীর হাতে স্বেচ্ছায় আটক হন।

এদিকে নিউটন চাকমাকে আটকের খবর প্রচারিত হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই সেনাবাহিনী নিউটনকে পুলিশের হাতে গছিয়ে দেয়। পরে দুপুরের দিকে বাবুছড়া নতুন বাজারের জায়গার মালিক তপন চাকমা, দিঘীনালা ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্ররঞ্জন চাকমা ও বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুগত চাকমা জনগণের হয়ে দীঘিনালা থানা থেকে নিউটন চাকমাকে মুক্ত করতে চেষ্টা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে দুপুরের দিকে চেয়ারম্যানদ্বয় ও তপন চাকমা বাধ্য হয়ে লিখিত মুচলেকায় নিউটন চাকমাকে মুক্ত করে আনেন।

নিউটন চাকমাকে এভাবে অনর্থক হয়রানী এবং একইসাথে দীঘিনালার প্রতিনিধিগণের অনুরোধেও একজন নিরপরাধীকে বিনা মুচলেকায় ছেড়ে না দেয়ায় দীঘিনালার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More