দীঘিনালায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এইচডব্লিউএফ’র

0

হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা আজ সোমবার (৩০ জুলাই ২০১৮) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নয় মাইল এলাকায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃদ্বয় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী-শিশুদের ওপর হিংস্র যৌন আক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত ২৮ জুলাই খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ৯ মাইলের ত্রিপুরা পাড়ায় দুর্বৃত্তরা ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা শিশুটির দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং সারা শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারীদের ওপর সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি নারীদের আজ কোথাও নিরাপত্তা নেই। নিজ বাড়িতেও জীবনের সংশয় নিয়ে পাহাড়ি শিশুদের বেড়ে উঠতে হচ্ছে।

নেতৃদ্বয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন অব্যাহত থাকায় ধর্ষণ, হত্যা ও অপহরণের মতো ঘটনা বার বার সংঘটিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে অপরাধীরা আরো বেশি বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস পাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রশাসন পাহাড়িদের নিরাপত্তার বড় হুমকি এমন অভিযোগ করে নেতৃদ্বয় বলেন, কল্পনা চাকমা অপহরণ থেকে শুরু করে পার্বত্য চট্টগ্রামে এযাবৎকালে সেনা ও সেটলার কর্তৃক বহু নারী-শিশু ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। উপরন্তু অপরাধীদের রক্ষায় সরকার-প্রশাসন মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে এবং এসব ঘটনায় যারা বিচারের দাবি জানায় তাদেরকে টার্গেটে পরিণত করে তাদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হয়।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে কৃত্তিকা ত্রিপুরার ধর্ষক ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি  এবং কল্পনা চাকমা অপহরণসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত সংঘটিত নারী ধর্ষণ-হত্যা-নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবি করেন।
———————–
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More