নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
নাইক্ষ্যংছড়ি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে শহরে বেড়াতে নিয়ে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রশি টানাটানির জের সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১১ বছর বয়সী ওই শিশু ছাত্রী। ধর্ষক যুবলীগ নেতা সব ঘটনা স্বীকার করে কাবিন নামা দিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও অপর পক্ষ ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে অনড় থাকায় বিষয়টি সমাজে হৈ-হুল্লোড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় বিভিন্ন জনের নানা কথা সইতে না পেরে ধর্ষিত ছাত্রী বিষ পান করে চটপট করলে তাকে প্রথমে রামু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কক্সবাজারের রামুর পার্শ্বস্থ এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামে ঘটেছে এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে।জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী সাবেকুন্নাহারকে স্থানীয় ঘিলাতলী গ্রামের বেদার মিয়ার স্ত্রী শহরে বেড়ানোর কথা বলে গত ৪ জুলাই ঘর থেকে বের করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে হোটেলে উঠে রাতে বাইশারী ক্যাংগারবিল গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রমজান মিয়াকে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে শিশু ছাত্রী সাবেকুন্নাহার (১১)। ওই হোটেলে ৩দিন ধরে রমজান মিয়া ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ৭ জুলাই বাড়িতে ফিরে আসলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়ে। সমাজপতিরা ধর্ষণে সহযোগিতা প্রদানকারী বেদার মিয়ার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করলে সে অকপটে ধর্ষন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়। ধর্ষক যুবলীগ নেতা রমজান মিয়া ধর্ষণ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে শিশু ছাত্রীকে ৫লক্ষ টাকার কাবিন ও ৩ ভরি স্বর্ণ ধার্য করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হলে ধর্ষিত শিশু অপমান সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিষ পান করে। স্বজনরা তাকে তড়িৎ রামু হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই ছাত্রী মারা যায়। সূত্র: রামু নিউজ ডটকম