নান্যাচরের জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর গভীর রাতে ঘর তল্লাশি ও হয়রানি
নান্যাচর: রাঙ্গামাটির নান্যাচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের জুরাছড়ি গ্রামে গভীর রাতে সেনাবাহিনীদের পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে তল্লাশি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ১৭’এপ্রিল (সোমবার) ঘিলাছড়ি ক্যাম্প থেকে ১৫-২০ জনের একদল সেনাবাহিনী সদস্য নান্যাচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জুরাছড়ি গ্রামে দিবাগত রাত ১টার দিকে রূপমনি চাকমা পিতা: ধর্মকুমার চাকমা মাতা: বুদ্ধদেবী চাকমা’র বাড়ি ঘেরাও করে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাগন্বিত স্বরে তার নাম রুপম চাকমা এবং পিতা: মৃত-আশাপূর্ণ কিনা জিজ্ঞেস করলে প্রত্যুত্তরে সে তার নাম, পিতা ও মাতার নাম বললে সেনাদের তালিকায় থাকা নামের সাথে মিল না থাকলেও তার বাড়িতে অস্ত্র রয়েছে অজুহাত দেখিয়ে বাড়ি তল্লাশি শুরু করে। ব্যাপক তল্লাশি করে বাড়ির সকল জিনিসপত্র তছনছ করেও অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে সেনাসদস্যরা তাকে রুপম চাকমার বাড়ি দেখিয়ে দিতে বলে।তিনি তাদের গ্রামে রুপম চাকমা নামে কাউকে চিনেন না বললেও সেনাসদস্যরা শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে বাড়ি দেখিয়ে দেয়ার জন্য তাদের সাথে নিয়ে যায়।প্রায় ঘন্টাখানেক তাদের সাথে ঘোরানোর পর তাকে মাঝ পথ হতে ছেড়ে দেয় সেনা জওয়ানরা।
ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রীতিআলো চাকমা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনীর হয়রানির স্বীকার রূপমনি চাকমার বাড়ি এবং জুরাছড়ি গ্রামটা আমার ওয়ার্ডের আওতাধীন। সেনাবাহিনী সদস্য কর্তৃক গভীর রাতে পাহাড়িদের শুধু জুরাছড়ি নয় বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে নিরীহ জুম্মদের ঘরবাড়ি তল্লাশি, হয়রানি, নির্যাতন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই করা হয় বলে মন্তব্য করেন।এমনিতেই গত রোববার ১৬’এপ্রিল ঘিলাছড়ি বাজার এলাকার নিজ বাড়ি হতে নিরপরাধ পল্টু চাকমাকে সেনা সদস্যরা আটক করে শারিরিক নির্যাতনের পর ছাদিকুল হত্যা মামলায় ফাঁসানোতে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে এলাকার সাধারণ জুম্ম জনগণ, তার উপর আবার আগুনে ঘি ঢালার মত এর পরের দিনেই জুরাছড়িতে সেনাবাহিনী গভীর রাতে জুম্ম ঘরবাড়িতে তল্লাশি ও হয়রানি করায় এলাকার জুম্ম জনগণ বর্তমানে আরো বেশি শঙ্কিত।
তিনি অচিরেই সরকারের প্রতি সেনাবাহিনী কর্তৃক রাতে-বিরাতে পাহাড়ি গ্রামে ঢুকে সাধারণ জুম্মদের ঘরবাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও অন্যায় ধরপাকড় বন্ধের আহ্বান জানান।
—————————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।