পানছড়ি কলেজে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নবীন বরণ
পানছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
সিএইচটিনিউজ.কম
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর উদ্যোগে খাগড়াছড়ির পানছড়ি ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। “ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস চেতনার সংগ্রাম বেগবান করুন, বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল ও সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে ছাত্র সমাজ সোচ্চার হোন” এই শ্লোগানে আজ ২১ জুলাই শনিবার সকাল ১১টায় পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পানছড়ি কলেজ শাখার সভাপতি রাম প্রকাশ ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক রিকো চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থুইক্যসিং মারমা, পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, পানছড়ি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রত্ন কুসুম চাকমা, প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রভাকর চাকমা, ৩নং পানছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান অসেতু বিকাশ চাকমা, চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উমেশ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের পানছড়ি থানা শাখার সভাপতি অপরাজিতা খীসা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পানছড়ি থানা শাখার সভাপতি বিবর্তন চাকমা। নিউমং মারমা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অভিনন্দন পত্র করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পানছড়ি কলেজ শাখার সদস্য অংক্যচিং মারমা। এর আগে ফুল দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ছাত্ররাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ ও জাতির যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ছাত্রদের গড়ে উঠতে হবে। পড়াশুনার পাশাপাশি সমাজ বিনির্মাণের কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। শাসকগোষ্ঠি বিভিন্নভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাসের মধ্য দিয়ে সরকার পাহাড়ি জাতিগুলোর ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে।
বক্তারা সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।