মাটিরাঙ্গায় আটক পিসিপি ও ডিওয়াইএফ নেতাদের মুক্তি দাবি ৮ সংগঠনের

0
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম

পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত ৮ সংগঠন আজ ৯ জুন রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে গতকাল (শনিবার) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন গোমতি ইউনিয়নের তাইপা এলাকা থেকে বিজিবি কর্তৃক বেআইনীভাবে আটক গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা সুশান্ত ত্রিপুরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা অমল ত্রিপুরার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।গ্রেফতারকৃতদের সাথে অস্ত্র পাওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতিতে তারা বলেন, “মাটিরাঙ্গার আদবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত ও অমল আগামী ১০ জুনের ছাত্রগণ সমাবেশ (বর্তমানে স্থগিত) সফল করতে জনসংযোগ সফরে তবলছড়ি ও গোমতি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে তাইপা নামক এলাকা থেকে আটক করে এবং পরে তাদের হাতে একটি পুরাতন ভাঙাচোরা দেশীয় অস্ত্র গুঁজে দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। সুতরাং তাদের সাথে অস্ত্র পাওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। গোমতিতে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রগণ সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যেই উক্ত দুই পাহাড়ি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

নেতৃবৃন্দ সুশান্ত ও অমলের গ্রেফতারকে সম্পূর্ণ বেআইনী, অগণতান্ত্রিক এবং সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করে বলেন, “আটককৃতরা দু’জনই ছাত্র, এ বছর তারা এসএসসি পাস করেছেন। গ্রেফতারের আগে কলেজে ভর্তির জন্য তারা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার কারণে তাদের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”

বিবৃতিতে ৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিজিবির সমালোচনা আরো বলেন, “বিজিবির দায়িত্ব সীমান্ত্ম পাহারা দেয়া হলেও, তারা মাটিরাঙ্গাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ লোকজনকে প্রতিনিয়ত বেআইনীভাবে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করছে। তারা রাতে বিরাতে লোকজনের বাড়িঘর ঘেরাও করে তলস্নাশী করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি ও আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত্ম করছে, পাহাড়ি গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে সেটলারদের উস্কানি ও সহযোগিতা দিচ্ছে এবং পাহাড়ি সংগঠনগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হস্ত্মক্ষেপ করছে।”

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিজিবির পলাশপুর ক্যাম্পের এ ধরনের বেআইনী, অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানান। নচেৎ এলাকার ক্ষুদ্ধ নারী পুরম্নষ তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্য চিং মারমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
——


 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More