রামগড়ে ভূমি বেদখল প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের বক্তব্য অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী মানসিকতার প্রতিফলন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমেন চাকমা আজ ৪ জুলাই বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে রামগড়ের পিলাভাঙায় ভূমি বেদখল প্রসঙ্গে গতকাল, ৩ জুলাই, মঙ্গলবার, এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলামের বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, উক্ত তিন সংগঠনের ডাকা অর্ধ দিবস সড়ক অবরোধ কর্মসূচীর ‘দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার ঘোষণা‘ তাঁর অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ।
জাহেদুল আলমের উক্ত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তিন সংগঠনের গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে নাক গলানোর অধিকার জাহেদুল আলম সাহেবের বা অন্য কারোর নেই। তাছাড়া তিন সংগঠন ও স্থানীয় জনগণ বিজিবি ও কতিপয় সেটলারের বিরুদ্ধে ভূমি বেদখলের অভিযোগ এনেছে, আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বা সম্পর্কে কোন উক্তি করেনি। তাই এতে উক্ত আওয়ামী লীগ নেতার মাথা ব্যাথার কোন কারণ থাকার কথা নয়।
ভূমির মালিক পূর্ণ চন্দ্র চাকমার কাছ থেকে ১৯৮৪-৮৫ সালে জনৈক সেটলার জমি ক্রয় করেছেন বলে জাহেদুল আলম যে দাবি করেছেন বাস্তবতা তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় না উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, ‘যদি উক্ত জমি সত্যিই ক্রয় করা হয়ে থাকে, তাহলে গত ২৮ বছরে দখল নেয়া হয়নি কেন বা এ ব্যাপারে কোন প্রকার মালিকানা দাবি করা হয়নি কেন? আসলে উক্ত জমি ক্রয় করা হয়েছে, নাকি অন্য উপায়ে সহজ সরল ও অশিতি পূর্ণ চন্দ্র চাকমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে তা বিবেচনা করার এক্তিয়ার একমাত্র আদালতের। আর বিজিবির হাসপাতাল নির্মাণের তথ্য দিয়ে কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে? যে জায়গায় উক্ত হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে তা পূর্ণ চন্দ্র চাকমার বেদখল হওয়া জমি থেকে কমপে আড়াই কিলোমিটার দূরে খাগড়াছড়ি – চট্টগ্রাম সড়কের পাশে শহীদ লে: ক: মুশফিক আহমেদ কেজি স্কুলের পাশে। তাই প্রশ্ন হলো, কেন বিজিবি পিলাভাঙা গ্রামে অস্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণ করে ভূমি বেদখল ও সেটলার পুনর্বাসনে সহায়তা দিচ্ছে? হাসপাতাল নির্মাণের সাথে পিলাভাঙায় ক্যাম্প করে থাকার সম্পর্ক কি? তাদের কাজ সীমান্ত রা নাকি ভূমি বেদখলে অন্যকে সাহায্য করা?’
নেতৃবৃন্দ জাহেদুল ইসলামকে অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও সহিঞ্চুতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি তিন গণতান্ত্রিক সংগঠনের সড়ক অবরোধ কর্মসূচীকে ঘিরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে তার জন্য তিনিই দায়ি থাকবেন।
তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পূর্ণ চন্দ্র চাকমার জমি বেদখলমুক্ত ও পিলাভাঙা থেকে বিজিবির অস্থায়ী ক্যাম্প সরিয়ে নেয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, এই ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়া হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
[দ্রষ্টব্য :
কয়েক ঘন্টা আগে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নিকোলাস চাকমা স্বাক্ষরে সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞিপ্তটি সংবাদাকারে এখানে প্রকাশ করা হয়। পরে যুব ফোরাম থেকে একই বিবৃতি সংশোধন করে আবারো পাঠানো হয়। যুব ফোরামের দপ্তর থেকে প্রেরিত সংশোধিত বিবৃতিটি হুবহু এখানে প্রকাশ করা হলো। এতদসঙ্গে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের প্রেরিত চিঠি নিচে উল্লেখ করা হলো :
সম্মানীত সাংবাদিকবৃন্দ,
শুভেচ্ছা।এতদসংগে একটি বিবৃতি সংযুক্ত করা হলো। এই বিবৃতি কয়েক ঘন্টা আগে একই বিষয়েপাঠানো বিবৃতিকে বাতিল করছে। অর্থাৎ এই বিবৃতির পর পূর্বের বিবৃতি আরকার্যকর বলে গণ্য হবে না। আপনাদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তিরকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।এতদসংগে একটি বিবৃতি সংযুক্ত করা হলো। এই বিবৃতি কয়েক ঘন্টা আগে একই বিষয়েপাঠানো বিবৃতিকে বাতিল করছে। অর্থাৎ এই বিবৃতির পর পূর্বের বিবৃতি আরকার্যকর বলে গণ্য হবে না। আপনাদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তিরকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ।
নিকোলাস চাকমা]