লামায় ৩ পাহাড়িকে খুনের প্রতিবাদে এবং খুনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিদি, সিএইচটিনিউজ.কম
বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনয়নের সিলেরতোয়া নাই্যংঝিরি এলাকায় সেটলার বাঙালি কর্তৃক একই পরিবারের ৩ পাহাড়িকে জবাই করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও খুনী আবু মুছার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মহাজন পাড়া থেকে শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার, কলেজ গেট ও উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘুরে স্বনির্ভর বাজারে গিয়ে শেষ হয়৷ সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুবীর চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আপ্রুসি মারমা।
বক্তারা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদেরকেনিশ্চিহ্নকরে দেয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের বর্বর হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। সরকারের মদদেই পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে৷ প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদপে গ্রহণ না করার বার বার এ ধরনের খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা প্রবাহের দিকে লক্ষ্য রাখলে লামা উপজেলার রূপসী পাড়ার সিলেরতোয়া এলাকার সংঘটিত খুনের ঘটনাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সেখানকার পাহাড়িদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
বক্তারা হত্যাকারী আবু মুছা সহ এই বর্বর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্যদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ জুলাই বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসী পাড়া ইউনিয়নের সিলেরতোয়া নাই্যংঝিরি এলাকায় এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে বাধা দিলে সেটলার আবু মুছা কিশোরীর দাদা অংসাউ মারমা (৭০), মা হামেচিং মারমা (৩৬) ও ভাই মংনুচিং মারমাকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।