শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রগতিশীল তিন ছাত্র সংগঠনের বিবৃতি

0

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল তিন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি পারভেজ লেলিন, ছাত্র গণমঞ্চের সভাপতি সাঈদ বিলাস ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য  সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “নানিয়ারচর কলেজে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর  নবীন বরণ ও কলেজ শাখা কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে  গত ১৯ নভেম্বর/১৭ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক “বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত ” সার্কুলার জারি করা হয়। এই সার্কুলার পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান দমনপীড়নের অংশ হিসেবে জারি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,“ আমরা জানি, সেনা শাসনের দমনপীড়নে  পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ পিষ্ট, তার ওপর মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক ১১ নির্দেশনা জারির মাধ্যমে দমনপীড়ন আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা দেখেছি,  দমনপীড়নের ধারাবাহিকতায় নানিয়ারচর জোনের সেনাদের হাতে নিষ্ঠুর শারীরীক নির্যাতনের শিকার হয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমা এ বছর ১৯ এপ্রিল মারা যান। এ থেকে অনুমেয় পার্বত্য চট্টগ্রামে কী ধরনের বর্বর শাসনব্যবস্থা জারি রয়েছে। এই দমনপীড়নের পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা এমনিতেই ভীতিকর পরিবেশে পড়াশুনা করে থাকে, তার ওপর এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে সার্কুলার জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘কঠোর নজরদারি’র নির্দেশনা দিয়ে কার্যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই ভীতিকর পরিস্থিতিকে আরো জোরালো করা হলো। এটা বুঝতে বাকী থাকে না,  শিক্ষার্থীদের ওপর সেনা-প্রশাসনের দমনপীড়ন বাড়ানোর লক্ষ্যেই একশ্রেণীর আজ্ঞাবাহী আমলা কর্তৃক মদদ দেয়া হয়েছে এই সার্কুলারের মাধ্যমে।”

সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ৩ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সার্কুলার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। সার্কুলারে পিসিপি’র নবীন বরণ ও কলেজ কাউন্সিলের মত নিরীহ অনুষ্ঠানকেও  রাষ্ট্র বিরোধী গণ্য করার ঘটনা বাস্তবিকই  আমাদের হতবাক করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার সূতিকাগার হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু এই সার্কুলারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার ও মুক্ত বুদ্ধি চর্চার ওপর আঘাত করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটি কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে নয়, বরং পুরো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র, মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপরও অশনি সংকেত হিসেবে আমরা মনে করি। তাই আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অগণতান্ত্রিক নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।”

————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More