অবিলম্বে সন্তু লারমার আঞ্চলিক পরিষদ থেকে পদত্যাগের দাবি যুক্তিযুক্ত: ইউপিডিএফ

0

 ডেস্ক রিপোর্ট,
সিইচটিনিউজ.কম
 
ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার এক বিবৃতিতে জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মী ‘অপহরণের’ অভিযোগ আবারো প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের মূল হোতা সরকারের দালাল সন্তু লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে এ যাবত বিভিন্ন সময় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরাই বিক্ষুদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস ও খুনের সাথে জড়িত সন্তু লারমার ভাড়াটে লোকজনকে আটক করেছে। এর সাথে ইউপিডিএফের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই এবং সে কারণে আটককৃতদের মুক্তির ব্যাপারে সন্তু লারমা গংদের সাথে ইউপিডিএফের দেনদরবার করার প্রশ্নই আসে না।’
তবে ইউপিডিএফ নেতা আটককারীদের উত্থাপিত ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের ও আঞ্চলিক পরিষদ থেকে সন্তু লারমার পদত্যাগের দাবিকে যুক্তিযুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত আখ্যায়িত করে বলেন, ‘তাদের এই দাবির প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনগণের গভীর সহানুভূতি ও সমর্থন পরিলক্ষিত হচ্ছে, সঙ্গত কারণে আমাদের পার্টিরও ঐ দাবির প্রতি নৈতিক সমর্থন রয়েছে। কারণ সন্তু লারমা আঞ্চলিক পরিষদ ও জনসংহতি সমিতির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ না করলে খুন-সন্ত্রাস তথা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ হবে না। তাই জাতীয় বৃহত্তর সার্থে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা উচিত।’
সন্তু লারমাকে তিনি ভ্যাম্পায়ার (vampire) বা রক্তচোষা প্রেতাত্মা বা চাকমা ভাষায় ‘ফু-পাজ্যা’ লোকের সাথে তুলনা করে বলেন, ‘ভ্যাম্পায়াররা যেভাবে জীবিত মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে, সন্তু লারমাও নিরীহ লোকজন খুন করে তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সাধারণ জনগণ আর তার খুনের রাজনীতির খোরাক হতে রাজী নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘শাহবাগে যেভাবে স্বপ্রণোদিত হয়ে তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে জেগে উঠেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামেও জনগণ আজ সেভাবে সন্তু লারমার ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইয়ে রাখার গণবিরোধী ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন ও তার গ্রুপের খুনী-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।’
সন্তু গ্রুপের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধ সংগ্রামকে আরো জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সন্তু লারমার কয়েক ডজন খুনী সদস্য আটক হওয়ায় লংগুদু, বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালাসহ সারা পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনি হত্যাকাণ্ড বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এভাবে বাকিদের আটক বা নিরস্ত্র করা গেলে অথবা সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ ও জনসংহতি সমিতির (সন্তু গ্রুপ) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা গেলে সরকারের ‘জুম্মো দিয়ে জুম্মো ধ্বংসের’ ভয়াবহ নীতি পার্বত্য চট্টগ্রামে অকার্যকর হয়ে পড়বে এবং তাতে সাধারণ মানুষের জীবনে হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতার ভীতি দূর হবে, যার সুফল ভোগ করবে পাহাড়ি বাঙালি সবাই।’

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More