Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
ঢাকা: হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি‘র জমা দেয়া তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান, চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস ও তার দোসরদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন- গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহড়ি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আজ ৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে এগার টায় জাতীয় প্রেসকাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শুরুর আগে একটি মিছিল পুরানা পল্টন হয়ে বায়তুল মোকারম ঘুরে এসে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নিরূপা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক সামিউল আলম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থুইক্যচিং মারমা।
সমাবেশে ফয়জুল হাকিম তার বক্তব্যে বলেন, সরকার আগামী ১৩ জানুয়ারী প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে যে রায় দিতে যাচ্ছে তার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে মূলতঃ লে. ফেরদৌস ও তার দোসরদের বাঁচানো। সিআইডির সর্বশেষ তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ও প্রহসনমূলক বিচার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কোন রায় দিলে সরকার বড় ধরনের ভুল করবে। বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা তা কখনো মেনে নেবে না। কল্পনা চাকমা অপহরণের ঘটনা নিছক নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণের মতো ঘটনা নয়, এই ঘটনা সংখ্যালঘু জাতির জনগণকে ধ্বংস করার সুদূরপ্রসারি সরকারী চক্রান্ত। তিনি তার বক্তব্যে দ্ব্যর্থহীনভাবে সিআইডি রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন এবং কল্পনা চাকমার অপহরণের হোতাদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে মাইকেল চাকমা বলেন, কল্পনা চাকমা অপহরণকারী লে. ফেরদৌস ও তার দোসরদের বাঁচানোর যে কোন ষড়যন্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বরদাস্ত করবে না। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী ১৩ জানুয়ারী কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলা থেকে অভিযুক্ত চিহ্নিত অপহরণকারী দুর্বৃত্ত লে. ফেরদৌস ও তার দোসরদেরকে রেহাই দেয়া হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন তা মেনে নেবে না। তার বিরুদ্ধে যে কোন কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক সামিউল আলম, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক থুইক্যচিং মারমা। সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি জানিয়েছেন জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।