কাউখালীতে পাহাড়িদের উপর যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, দোকানপাট ভাংচুর
কাউখালী (রাঙামাটি) : রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা সদরের কচুখালীতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা পাহাড়িদের উপর হামলা ও দোকানপাট ভাংচুর চালিয়েছে। হামলায় ২জন পাহাড়ি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৪ জুন) ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা ৭:৪০টার দিকে যুবলীগের কাউখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন (নাজিম) এর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী অতর্কিতে এসে পাহাড়িদের উপর হামলা চালায় এবং দোকানপাট ভাংচুর করে। এ সময় পাহাড়িরা বাধা দিতে চাইলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে গাড়িযোগে একদল সেনা সদস্য এসে উল্টো পাহাড়িদের উপর লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দেয়।
হামলায় ২ জন দোকানদারসহ ৩ জন আহত হন। তারা হলেন- মংসৈনু মারমা (২৫), অংহ্লাচিং মারমা (২৩) ও মেমং মারমা (১৯)।
যেসব দোকান ভাংচুর করা হয় সেগুলো হচ্ছে- অংসৈনু স্টোর, বিপ্লব চাকমা স্টোর, রুইথুইমং স্টোর, উষাতন চাকমা কলিং কর্ণার, বিমল চাকমা স্টোর, পাচিং মারমা স্টোর। এছাড়া হামলাকারীরা ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জগদীশ চাকমা ও সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার প্রার্থী উষাইনা মারমার নির্বাচনী অফিসও ভাংচুর করে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এরপর রাত পৌনে ৯টার দিকে তারা আবারো হামলা চালাতে পাহাড়িদের গ্রামে ঢুকতে চাইলে পাহাড়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ হামলার আগে সন্ধ্যার দিকে ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘিলাছড়ি কেন্দ্রে সেটলার বাঙালিরা উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং পাহাড়িদের উপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন পাহাড়ি আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত (রাত ৯টা) উক্ত কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ভোট গণনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার