কাউখালী কলমপতি গণহত্যার ৩৭তম বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

0

25.03.17, Kawkhaliকাউখালী : কাউখালী কলমপতি গণহত্যার ৩৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কাউখালী থানা শাখার উদ্যোগে ২৫ মার্চ শনিবার বেলা ২:৩০টায় পোয়াপাড়া শান্তি নিকেতন বৌদ্ধ বিহারে আলোচনা সভা ও গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।

“কাউখালীর কলমপতি গণহত্যার সাথে জড়িত সেনা-সেটলারদের বিচার কর” এই দাবিকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সভায় থুইনুমং মারমার সঞ্চালনায় পিসিপি কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি প্রজ্ঞা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ কাউখালী উপজেলা সংগঠক বাবলু চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার সম্পাদক রুপন মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কাউখালী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক দয়া সোনা চাকমা, স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য স্মৃতি দেবী চাকমা ও এলাকার মুরুব্বী অমলেন্দু চাকমা।

বক্তারা বলেন, ১৯৮০ সালের ২৫শে মার্চ কাউখালীর কলমপতিতে যে গণহত্যা সংঘটিত হয় তার নিরব স্বাক্ষী এই পোয়াপাড়া শান্তি নিকেতন বৌদ্ধ বিহার। এখানে পাক বাহিনীর মত এদেশের সেনাবাহিনী এলাকার মানুষদের তথাকথিত শান্তি মিটিং নাম দিয়ে ডেকে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, সেনা-সেটলাররা মিলে আশেপাশে পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা ও পাহাড়ি নারীদের ধর্ষণের মত জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজ সংঘটিত করে।

বক্তারা বলেন, মূলত পাহাড়িদের জায়গা বেদখল করতে অনুপ্রবেশকারী সেটলার ও সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে এই গণহত্যা চালায়। এখানে ৩০০ জনের অধিক পাহাড়িকে হত্যা করা হয়।Kawkhali, 25.03.17

বক্তারা আরো বলেন, কলমপতি গণহত্যা হল পার্বত্য চট্টগ্রামে সরাসরি রাষ্ট্রীয় মদদে সংঘটিত প্রথম গণহত্যা, যেখানে হত্যার পাশাপাশি পাহাড়ি নারীদের ধর্ষণ করা হয়।

বক্তারা বলেন, সরকার কলমপতি গণহত্যার বিচার না করে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করছে। কিন্তু সরকারের মনে রাখা দরকার, ১৯৭১সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে বাঙালি জনগণের উপর ঝাপিয়ে পড়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল একই কায়দায় ১৯৮০ সালের ২৫ মার্চ এদেশীয় সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা এই কলমপতিতে পাহাড়িদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল এবং ঘরবাড়ি, বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছিল।

বক্তারা কলমপতি গণহত্যাসহ পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচারের দাবি জানান।

আলোচনা সভা শেষে পোয়াপাড়া শান্তি নিকেতন বৌদ্ধ বিহারের সামনে গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
——————

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More