গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, ধরপাকড় ও সেনা অভিযান বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দিঘীনালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত ৮ নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, ষড়যন্ত্রমূলক ধরপাকড় ও সেনা অভিযান বন্ধের দাবিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন আজ ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর বাজার থেকে দুপুর ১২টায় মিছিলটি শুরু হয়ে জেলা পরিষদ, নারাঙহিয়া, উপজেলা হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার ঘুরে আবার স্বনির্ভর বাজারে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি বিপুল চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মিশুক চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক জিকো ত্রিপুরা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার সেনাবাহিনীকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। রাতে-বিরাতে নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লংঘন করে চলেছে। দিঘীনালায় ৩ পাহাড়ি নারীর উপর সেনা সদস্যরা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা, আটক ও তল্লাশির নামে হয়রানি ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালানোর মাধ্যমে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে তার পরিণাম কখনো শুভ হবে না বলে বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
বক্তারা দমন-পীড়ন চালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ন্যায্য আন্দোলনকে কিছুতেই দমিয়ে রাখা যাবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সকল ধরনের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠার জন্য ছাত্র-যুব ও নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জনান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ৮ নেতা-কর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি, গ্রামে গ্রামে হয়রানিমূলক সেনা তল্লাশি বন্ধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন তুলে নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জোর দাবি জানান।