চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সমাবেশে সন্তু গ্রুপের হামলা, আহত ৪

0

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
আজ ২০ ফ্রেব্রুয়ারি বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সমাবেশে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ৪ জনকে আহত করেছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের দেওয়ান হাট সিটি কর্পোরেশন কলেজের শিক্ষার্থী রবি চাকমাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুসহ তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে আজ সকাল সাড়ে দশটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে প্রক্টরের অনুমতি নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করে। কিন্তু ১২টার দিকে প্রগতির পরিব্রাজক দলের জাহিদ রোকন সমাবেশে সংহতি বক্তব্য দেয়ার সময় দুই নাম্বারী নামে পরিচিত সন্তু গ্রুপের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা চাকসুর ঝুপরির কাছ থেকে হঠা মিছিল করে আসে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে পিসিপির সমাবেশের দিকে আসতে বাধা দিলে তারা চলে যায়। তবে এর কিছুক্ষণ পর দুই নাম্বারীরা আবার আসে এবং “ধর ধর” বলে পিসিপির সমাবেশে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে জবাবে তারা গুলতি মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ তাদের উপর পাল্টা হামলা চালায়। এরপর পুলিশ পিসিপি কর্মীদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে আসার সময় ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী মাস্তানরা তাদের গতিরোধ করে এবং ইউপিডিএফ কর্মীদের কেন পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে প্রশ্ন করে। তাদের হুমকিতে পুলিশ পিসিপি কর্মীদের ওপর থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় এবং সমাবেশে যোগ দেয়া পিসিপির দুই সদস্য মিটন চাকমা ও দীপেন চাকমাকে আটক করে। আহত অন্য তিন জন হলেন জুপিটার চাকমা, সুকান্ত চাকমা ও রসকিত চাকমা।
সন্তু গ্রুপের যারা হামলায় অংশ নেয় তারা ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ছাত্র বাদে সবাই বহিরাগত। এদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলো প্রতিম চাকমা, অনিল মারমা, বাবু ও সন্তোষ।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সিমন চাকমা ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সুকৃতি চাকমা উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, অতীতেও সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে পিসিপির অনেক সদস্যকে আহত করে। সে সময় হাটহাজারী থানা কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ না করে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও উভয় পক্ষকে ডেকে বিরোধী মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। পিসিপি বৃহত্তর স্বার্থে থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।
পিসিপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে তারা থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এভাবে একের পর এক হামলা চালাতে সাহস পাচ্ছে। #

এ ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিকালে চট্টগ্রামে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More