পানছড়িতে ইউপিডিএফ সংগঠককে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ

0

খাগড়াছড়ি : ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান  সংগঠক সচিব চাকমা আজ ২২ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার মরাটিলায় সেনাবাহিনীর লেলিয়ে দেয়া জেএসএস সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ সংগঠক সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা ওরফে কাথাং (৩৮)-কে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেএসএস সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের একটি দল পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের মরাটিলায় একটি দোকানে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফ-এর সংগঠক সুনীল বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি দোকান থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে দোকানে থাকা অনন্ত ত্রিপুরা (২৫), পিতা- সত্ত রঞ্জন ত্রিপুরা নামে ইসকন মন্দিরের এক সাধকও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

সচিব চাকমা জেএসএস সংস্কারপন্থী চার কুচক্রী সেনাবাহিনীর মদদে ও পৃষ্ঠপোষকতায় খুন, গুম, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলেন, ‘জনগণের অধিকারের পক্ষে একটি মিছিল কিংবা সমাবেশ-মানববন্ধন দূরের কথা, সামান্য একটা বিবৃতি পর্যন্ত তারা দেয় না। অথচ জনগণের জন্য আন্দোলনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলে সংস্কারপন্থী নেতারা সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যসহ নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত রয়েছে।’

সংস্কারপন্থী চার কুচক্রী পেলে-শক্তিমান-সুদর্শন-অংশুমানকে চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও অশুভ শক্তি হিসেবে বর্ণনা করে ইউপিডিএফ নেতা আরো বলেন, ‘সংস্কারপন্থীরা আন্দোলন নয়, নিজের জ্ঞাতি ভাইকে খুন, গুম, অপহরণের মাধ্যমে সরকার ও সেনাবাহিনীর জুম্ম ধ্বংসের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে চলেছে।’

বিবৃতিতে তিনি খুনের রাজনীতি পরিহার করে জনগণের কাতারে এসে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য সংস্কাপন্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন।

ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে সুনীল বিকাশ ত্রিপুরার হত্যাকারী জেএসএস সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More