পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউপডিএফ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠার ১ যুগ পূর্ণ হতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার একযুগপূর্তি উপলক্ষে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সভাপতি প্রসিত খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শঙ্কর চাকমা আজ শুক্রবার ২৪ ডিসেম্বর এক বার্তায় পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম জোরদার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে সংগ্রামী অভিবাদনজানিয়েছেন

জনগণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বার্তায় ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় অবিলম্বে সকল ধরনের দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করে জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন,তত্‍কালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির মধ্যে বৈঠক ও গোপন বোঝাপড়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন পাহাড়ি গণপরিষদ-পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ৯৭ সালের ১০ মার্চ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপন করেছিল এরপর তিন সংগঠন পার্বত্য চুক্তিপ্রত্যাখ্যান করে ৯৭ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়ক দ্বীপে চুক্তির কপি পুড়িয়ে দেয় এবং ৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণের দিন খোদ খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে তার প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের ব্যানার উঁচিয়ে ধরে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বত্র দালালির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে প্রতীকী হিসেবে দুলো‘ (মাছ রাখার এক প্রকার ঝুড়ি) টাঙিয়ে দেয় এর ধারাবাহিকতায় এই তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন ৯৮ সালের ২৫-২৬ ডিসেম্বর এক পার্টি প্রস্তুতি সম্মেলনের মাধ্যমে ইউপিডিএফ গঠন করে

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ২০০৭ সালের নভেম্বরে আহূত প্রথম জাতীয় কংগ্রেসে ইউপিডিএফ-এর গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র-কর্মসূচি ও নীতিমালা অনুমোদনসহ ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয় ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় সদস্য রুইখই মারমা গণসংযোগ সফরের সময় সেনাসৃষ্ট একটি সশস্ত্র গুণ্ডাদলের হাতে প্রাণ হারান

বিবৃতিতে তারা বলেন, ইউপিডিএফ-কে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোন ধরনের আন্দোলন গড়ে না উঠে তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠা লঘ্ন থেকে তত্‍কালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও সন্তু লারমা চক্র পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর যৌথ আক্রমণ ও দমন-পীড়ন চালায়। গত ১২ বছরে সন্তু লারমার সশস্ত্র বাহিনী পার্টিরদুশতাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করে, অপহরণ করে পাঁচ শতাধিক এবং আহত করে অনেককে, যাদের মধ্যে ডজনের অধিক সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করতে বাধ্য হয়েছেন এছাড়া সরকার পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাসহ চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করে কিন্তু এত দমনপীড়ন সত্বেও ইউপিডিএফ-কে নির্মূল করা যায়নি, বরং পার্টি ধীরে ধীরে তার শক্তি ও গণভিত্তি বৃদ্ধি করে সগৌরবে প্রতিষ্ঠার এক যুগ পালন করতে যাচ্ছে

ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠা দিবসটির তাত্‍পর্য তুলে ধরতে ২৬ ডিসেম্বর জেলা ও থানা কমিটিসমূহ কর্তৃক গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন, সভা সমাবেশ র‌্যালী ও এলাকাবাসীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More