পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দিবস উপলক্ষে গুইমারা-মাটিরাঙ্গা শাখা পিসিপি’র আলোচনা সভা

0

মাটিরাঙ্গা : পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালের ১০ মার্চ পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেছিল তিন গণসংগঠন পাহাড়ি গণ পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপনের দিনটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১০ মার্চ) বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) গুইমারা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সনদ পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামকে বেগবান করতে এগিয়ে আসুন’ এই আহ্বানে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পিসিপি মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি প্রদিপ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও গুইমারা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কুবন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ-এর গুইমারা-মাটিরাঙ্গা উপজেলা ইউনিটের সংগঠক তৈফাং ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিপন ত্রিপুরা ও পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক সমর চাকমা।

সভা শুরুতে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি গভীর সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা আজকের দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সরকার অসম্পুর্ণ চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পূর্নস্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা তা হতে দেয়নি। ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর নতুন রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ গঠিত হলে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন আরো জোরদার হয়ে এ দাবি এখন নিপীড়িত জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদায় থাকলেও কালক্রমে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগনের উপর নিপীড়ন-নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা বর্তমান পর্যন্ত চলমান রয়েছে। পাহাড়ি জনগণের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে শাসকগোষ্ঠী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বহু মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিমেয় পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে আরো বেগবান হবে। জনগণের এই দাবি আদায়ের জন্য শাসকগোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজ দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।

সভা থেকে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More