বাঘাইছড়িতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে ৫ পাহাড়ির মৃত্যুতে পা. চ. কমিশনের উদ্বেগ প্রকাশ
সিএইচটি নিউজ ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক কমিশন রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে গত ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর সাথে কথিত ‘বন্দুক যুদ্ধে’ পাঁচ পাহাড়ির মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, মিডিয়ার রিপোর্টে উক্ত নিহত পাঁচ ব্যক্তিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এম এন লারমা গ্রুপ) সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিডিয়ায় প্রচারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঘাইহাট জোনের আর্মিরা গোপন সূত্রে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপের’ সংবাদ পেয়ে তা মোকাবিলা করতে সেখানে যায়। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে সেনাবাহিনী ও সমিতির সদস্যদের গুলি বিনিময়ের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ নেই। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন কি ধরনের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে উক্ত ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল তা নির্ধারণের জন্য নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে।’
কমিশনের নেতারা আরো বলেন, গত ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে তিমির বরণ চাকমা নামে জেএসএস (এম এন লারমা গ্রুপ) এর অন্য একজন সদস্য সেনা হেফাজতে থাকাকালে নির্যাতনে মারা যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোন নিরপেক্ষ রিপোর্ট বের হয়নি।
কতিপয় সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা করে কমিশন বলে, ‘দেশের শীর্ষ সংবাদপত্রগুলো নিহতদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ক্রিমিন্যাল’ আখ্যা দিয়ে এই ঘটনার (বাঘাইছড়ি) রিপোর্ট ছাপিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, এই সংবাদপত্রগুলো সাংবাদিকতার মৌলিক নিয়ম অনুসরণ করছে না। ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধান ছাড়া এবং কথিত বন্দুক যুদ্ধের নেপথ্য তথ্য ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের ক্রিমিনাল হিসেবে চিত্রিত করা হলে তা কেবল তাদের প্রতি সাধারণ জনগণের খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে না, তা তদন্তের ক্ষেত্রে ও সম্ভাব্য আইনগত প্রক্রিয়াকেও প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে। আমরা সংবাদ মাধ্যমের এবং বিশেষত দেশের শীর্ষ সংবাদপত্রগুলোর এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদিকতার নিন্দা জানাই।’
বিবৃতিতে সাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের তিন কো-চেয়ার এরিক এভিবুরি, সুলতানা কামাল ও এলসা স্ট্যামাটোপোলৌ।
—————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।