বান্দরবানের লামায় পাহাড়িদের উপর ভূমিদস্যুদের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম: বান্দরবানের লামায় পাহাড়ি জুম চাষীদের উপর বহিরাগত ভূমিদস্যুদের হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ইউপিডিএফ-ভুক্ত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ বিকেলে মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরম্ন হয়ে জামাল খানস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জিকো মারমা, কেন্দ্রীয় সদস্য এসি মং মারমা, বন্দর থানার সভাপতি বিজয় চাকমা, চাদগাঁ থানার সভাপতি ও চাক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শুভ চাক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিমন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসিং মারমা।
বক্তারা গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবানের লামা উপজেলার মুরুংঝিরি এলাকায় জুমে ও বাড়িতে কর্মরত মারমাদের উপর বহিরাগত ভূমিদস্যুদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাহাড়িদের জমি জোরপূর্বক কেড়ে নেয়ার জন্যই এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ হামলার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার খরচ প্রদান এবং ভূমি বেদখল বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।
ভূমি আগ্রাসন সমস্যাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে পাহাড়িদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সমতল এলাকা থেকে বাঙালিদের নিয়ে আসার কারণে এই সমস্যা বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। পাহাড়িদের হাজার হাজার একর জমি এখন বহিরাগতদের বেদখলে রয়েছে।’ তারা সেটলারদেরকে মর্যাদার সাথে ও জীবিকার নিশ্চয়তাসহ সমতলে পুনর্বাসন ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ গতকাল, বৃহস্পতিবার, চট্টগ্রামের বন্দরে ব্যারিস্টার কলেজ এলাকায় সংগঠনের নেতা সুমন চাকমার উপর সন্তু গ্রম্নপের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হামলারও তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন দুই নাম্বারী বলে পরিচিত সন্তু গ্রুপের লোকজন মদ জুয়াসহ সকল ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত। তাদের উস্কানিতেই কয়েক দিন আগে সিইপিজেডে পাহাড়ি ও বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল।
ডিওয়াইএফ নেতৃবৃন্দ সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।