বিলাইছড়িতে ভাবনা কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সংবাদ সম্মেলন
বিলাইছড়ি(রাঙামাটি) প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আজ ২৯ জানুয়ারীদুপুরে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘেরকেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ধর্মানন্দ মহাথের, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিকসম্পাদক শ্রীমৎ নন্দিয় মহাথের, প্রচার সম্পাদক অগ্র জ্যোতি থের, বিলাইছড়িউপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আর্য্যলংকার থের ও বিপুল জ্যেতি ভিক্ষু আররাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, কাউখালী, রাজস্থলীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকেআগত ৩০জন বৌদ্ধ ভিক্ষু ও শ্রমন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনেপার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সহ-সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, বৌদ্ধ ধর্মীয়প্রতিষ্ঠানটির নিকটবর্তী ৩টি ঘরও ভাংচুর হয়েছে। তিনি ভাংচুরের নিন্দাজানিয়ে এধরনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রক্ষার আহ্বানজানান। ২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১০ দিন ব্যাপী ওই প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় অনুষ্ঠানহওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি এ ঘটনার জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। ভাংচুরের ঘটনায়বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর ও লুট হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনিবলেন, এঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলেসারা দেশের বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের নিয়ে কর্মসূচী নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রটির ভারপ্রাপ্ত বিহারাধ্যক্ষ সুমনানন্দভিক্ষু বলেন, আগের দিন হামলাকারীদের মহড়া দেখে ভয় পেয়ে ২ শ্রমনকে অন্যত্রেপাঠিয়ে তিনি জঙ্গলে আত্মগোপন করেন। দেড়দিন না খেয়ে তিনি জঙ্গলে থাকেন এবংমোবাইলে চার্জ না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। ভাবনা কেন্দ্রেবৌদ্ধ মুর্তি ভাঙ্গা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, চেয়ার, টেবিল, পানিরফিল্টার ও বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙ্গাসহ কুড়াল, থালা-বাসন ও বিভিন্ন সামগ্রীলুট হয় আর পানির গাজী ট্যাংকটিও নেই বলে তিনি জানান। এতে কমপক্ষে ৬ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেবৌদ্ধ ভিক্ষুগণ উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধভিক্ষুগণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা সহ ভাবনা কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।