ভিজিডি কার্ডধারীদের নিয়ে মাইসছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমার প্রশংসনীয় সফল উদ্যোগ
মহালছড়ি প্রতিনিধি,সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা ভিজিডি কার্ডধারীদের নিয়ে এক পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সফল হয়েছেন। তিনি প্রথমে তাঁর ইউনিয়নের প্রত্যেক ডিজিডি কার্ডধারীদের নিয়ে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেন। এদের মধ্য থেকে ২৪জন কার্ডধারী পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্মতি প্রকাশ করে। পাইলট প্রকল্পটি হচ্ছে- পাইলট প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত প্রত্যেকে ২৪টি ভিজিডি কার্ড এর কার্ডপ্রতি ৩০কেজি চাউল বিক্রি করে যা পায় তার সমমূল্যে লটারীর মাধ্যমে একজন বিজয়ীকে প্রতিমাসে গরুর বাছুর এক জোড়া ক্রয় করে দেওয়া হবে। এভাবে ২৪টি ভিজিডি কার্ডধারী ২৪ মাস অর্থাৎ ২বৎসরে প্রকল্প অর্ন্তভূক্ত প্রত্যেকেই এক জোড়া করে মোট ৪৮টি গরুর বাছুর পাবে। এ পর্যন্ত মোট ১৬ ভিজিডি কার্ডধারী ১৬ মাসে ১৬ জোড়া গরুর বাছুর ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান।
পশ্চিম ক্যায়াংঘাট গ্রামের প্রকল্প অর্ন্তভুক্ত সুবিধাভোগী রুপালী চাকমা ও রাবিনা চাকমা’র স্বামী দ্বীপন চাকমা’র সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা’র ভিজিডি কার্ডধারীদের নিয়ে যে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যেগ গ্রহন করেছে তা আমাদের সকলের অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁরা নিজেদের ভাগ্যবান উল্লেখ করে আরো বলেন, আমরা প্রথম ধাপে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে গরুর বাছুর সবার আগে পেয়েছি। চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা’কে প্রশংসা করতে গিয়ে সুবিধাভোগী রুপালী চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত থেকে বাংলাদেশ সরকার গরীব ও দুস্থদের মাঝে ৩০ কেজি হারে চাউল বিতরণ করে আসছে, এর বিনিময়ে কেউ কোন কিছু দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমাদের চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা’র বুদ্ধিমত্তা ও যোগ্যতার কারণে আমরা সুবিধা ভোগ করছি।
সুবিধাভোগী রাবিনা চাকমা’র স্বামী দ্বীপন চাকমা’র কাছে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে লাভ-ক্ষতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার গরুর বাছুর ১৪ মাসে এখন বিক্রি করলে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা পাবো। সুতরাং অবশ্যই লাভ হয়েছে । ২৪জন সদস্যের মধ্যে যারা এখনো গরুর বাছুর পাননি তাদের মধ্যে প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত এক কার্ডধারী সদস্য শান্তিবালা চাকমা’র সাথে না পাওয়াতে কোন দুঃখ বা ক্ষোভ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত গরুর বাছুর না পেলেও আমার কোন দুঃখ নেই। কারণ পাইলট প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত না হলে আমি কিছুই পেতাম না। এদিকে কিছুদিন দেরী হলেও একসাথে এক জোড়া গরুর বাছুর পাবো এটাই আমার মনের শান্তি।
চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা বলেন, আমার ইউনিয়নে গরীব ও বেকার সংখ্যা বেশী। তাই এদের সকলকে সঞ্চয়ী মনোভাব সম্পন্ন করে গড়ে তুলে পরনির্ভরশীল না থেকে আত্মনির্ভরশীল করার উদ্দেশ্যেই আমি এ উদ্যেগ গ্রহন করেছি। আমি সবসময় সরকার প্রদত্ত সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে চাই। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়ে ৩ মাস মেয়াদী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এতে বেকার যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষিত হলে নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আত্মনির্ভলশীল হতে পারবে বলে মনে করি। আশা করি এতেও সফল হবো।