মাটিরাঙ্গায় সেটলার হামলায় পালিয়ে যাওয়া ৪০ পরিবার পাহাড়ি এখনো গ্রামে ফিরতে পারেনি

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
মাটিরাঙ্গা: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনয়নের ত্রিপুরা অধ্যুষিত গ্রাম টাকার মনি পাড়ায় সেটলার বাঙালিদের হামলায় প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া ৪০ পরিবার পাহাড়ি এখনো গ্রামে ফিরতে পারেনি। বর্তমানে তারা পাশ্ববর্তী একটি পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। গত ১৮ জুন মঙ্গলবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গোমতি বাজারের পাশ্ববর্তী বান্দরছড়া এলাকা থেকে একদল সেটলার টাকার মনি পাড়া নামে একটি ত্রিপুরা গ্রামে হামলা চালায় ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। এ হামলায় ঐ গ্রামের ৪০ পরিবার পাহাড়ি প্রাণের ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। গোমতি এলাকার জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে সেটলাররা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ হামলার পর দু’দিন অতিক্রান্ত হলেও প্রশাসন এখনো হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে নিরাপত্তার অভাবে পালিয়ে যাওয়া ৪০ পরিবার পাহাড়ি এখনো গ্রামে ফিরতে পারছেন না।

ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও পালিয়ে যাওয়া গ্রামবাসীরা যাতে নিরাপদে নিজ গ্রামে ফিরতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, পাহাড়ি গ্রামবাসীদের উপর হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে সেটলার বাঙালিদের উগ্রসাম্প্রদায়িক মহলটি জোর তপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ মহলটিই বার বার পাহাড়িদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সংঘটিত করছে। এদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকান জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ‘সম্প্রতি মাটিরাঙ্গায় পাহাড়িদের উপর হামলা ও নির্যাতন বেড়ে গেছে। গত এপ্রিলে বৈসাবি উসবের কয়েক দিন আগে ২ ও ৫ এপ্রিল মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের প্রাণ কুমার পাড়ায় পর পর দু’বার হামলা চালানো হয়েছিল। এ সময় গ্রামের পুরো ২৭ পরিবার ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন নিরীহ পাহাড়িদের আটক, নির্যাতন, ভীতি প্রদর্শন ও বাড়ি ঘেরাও-এর ঘটনা ঘটছে।’

……..

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More