মানিকছড়িতে শহীদ মংশে মারমার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
মানিকছড়ি(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে শহীদ মংশে মার্মার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যেআজ ৩ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ৭টায় মানিকছড়ি উপজেলার মরাকইল্যা গ্রামে শহীদ মংশে মারমার স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন যথাক্রমে অমর চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও আপ্রু মারমা। এছাড়া মরাকইল্যা পাড়ার যুবক-যুবতী ও মুরুব্বীরা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় গুজা রেজি: প্রাইমারী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নেন।
এরপর সকাল ১১টায় মরাকইল্যা বৌদ্ধ বিহারে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ সভাপতি হরি কমল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর মানিকছড়ি এলাকার সংগঠক অমর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আপ্রু মারমা, মরাকইল্যা গ্রামের মুরুব্বী মোহন চাকমা, গুজা রেজি: প্রাইমারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দ্র কেতু চাকমা ও নোয়া পাড়া গ্রামের মুরুব্বী কংপ্রু কার্বারী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মংশে মারমা হত্যার দীর্ঘ ১৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও খুনীদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। খুনীরা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে মংশে মার্মার খুনীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, মংশে মারমা মানিকছড়ি থানা শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের একজন একনিষ্ট সংগঠক ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মানিকছড়ির কালাপানি এলাকায় সাংগঠনিক কাজে গেলে জেএসএস-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মংশে মারমাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।