রাঙামাটির বন্দুকভাঙায় সন্তু গ্রুপ কর্তৃক দুই ইউপিডিএফ সদস্য খুন
রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটির বন্দুকভাঙায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতরা হলেন বিন্দু লাল চাকমা ওরফে প্রভেল (৩০) পিতা- বিলাস চন্দ্র চাকমা, গ্রাম আমছড়ি (মানিকছড়ি) সাপছড়ি ইউনিয়ন, ও শরবিন্দু চাকমা ওরফে সাঙু চাকমা (২৫) পিতা রাত্তোমনি চাকমা, গ্রাম হারাঙি দোর, কাউখালী। আজ ২৯ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাঙামাটির চক্র পাড়া থেকে সন্তু বাহিনীর সশস্ত্র গ্রুপের কমান্ডার জঙ্গী চাকমা ও সুপ্রিয় চাকমার নেতৃত্বে ৭ -৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল রাতে বন্দুকভাঙা মগপাড়ায় গিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। ইউপিডিএফ কর্মীরা সাংগঠনিক কাজে বের হলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর অতর্কিতে সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় ইউপিডিএফ কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে। এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ কর্মীরা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা গুলি করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক ধ্রুব জ্যোতি চাকমা এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসী হামলায় উক্ত দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি সন্তু লারমাকে সরকারের দালাল আখ্যায়িত করে বলেন, “সন্তু লারমা শ্রীমুখে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের লম্বা লম্বা কথা বললেও সরকারের বিরুদ্ধে কোন কর্মসূচী না দিয়ে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীদেরকেই একের পর এক পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছেন। আর তার এ কাজে সরকার ও সেনাবাহিনী তাকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে।”
ইউপিডিএফ নেতা সন্তু লারমাকে আত্ম ধ্বংসের পথ পরিহার করে জনগণের ঐক্য ও সমঝোতার আকাঙ্খার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরামর্শ দেন।