রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
 
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে ইউপিডিএফসহ সকল দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দলের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া উচিত মন্তব্য করে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছেন। বিতর্কিত একটি দলকে  (যে দল কখনই জনগণের ভোট লাভ করে নি) নিবন্ধন দিতে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সুযোগ দেয়া হয়েছে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত দু’দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এবং জনগণের আস্থা অর্জনকারী রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ নিবন্ধন লাভের আবেদন করেও আইনী উছিলা দেখিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করে নি। মূলত: ইউপিডিএফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলসমূহকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার মতলবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের উক্ত আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। ফলে ইউপিডিএফ হাইকোর্টে মামলা করেও তা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
 দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে হয়রানির কারণে ইউপিডিএফ নেতা ক্ষোভের সাথে আরও বলেন, শাসকগোষ্ঠীভুক্ত দলসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন ভাষা-ভাষী সংখ্যালঘু জাতি ও সম্প্রদায়কে দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করে না। সংবিধানে তাদের জাতিসত্তার পরিচিতি মুছে দিয়েছে। অধিকারহারা জনগণের নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংগঠন গড়ে উঠুক, তা তারা চায় না। ব্রুট মেজরিটির জোরে আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন জাতিসমূহের ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। সে সময় প্রধান বিরোধী দল বিএনপিভুক্ত দলসমূহ তার প্রতিবাদে কোন ভূমিকা নেয় নি। বর্তমানে এক তরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বিএনপি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাধিয়ে ফায়দা লুটতে সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে সারা দেশে তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে এখনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় রয়েছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ জাগা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
বিবৃতিতে তিনি ইউপিডিএফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য দু’টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলকেও নিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি, নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্বাচনে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More