রামগড়ে পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে কুদুকছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিক্ষোভ

0

11রাঙামাটি : খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার রূপাইছড়ি এলাকায় সেটলার মোহাম্মদ হাসান ও তার সহযোগীদের কর্তৃক পাহাড়ি (ত্রিপুরা) কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ  মিছিল ও সমাবেশ করেছে হি উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটি।

আজ রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বড় মহাপুরুম উচ্চ বিদ্যালয় গেইট হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি  কুদুকছড়ি বাজার প্রদক্ষিণ করে পূনরায় একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মন্টি চাকমার সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সদস্য দয়াসোনা চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি নিকন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম রাঙ্গামাটি জেলা শাখার আহব্বায়ক ধর্মশিং চাকমা। এতে সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি’র সাবেক সভাতি শান্তিপ্রভা চাকমা এবং ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শান্তনা চাকমা প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কল্পনা চাকমা’র অপহরণের সুষ্ঠু বিচার না হওয়াতে নরপশুরা বার বার নারী ধর্ষণ ও অপহরণে উৎসাহ পাচ্ছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে  ক্রমেই নারী ধর্ষণ, অপহরণ এর মত অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে পাহাড়ি  কিশোরীকে ধর্ষণকারী খাগড়াবিল এলাকার সেটলার মোঃ হাসান ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) রামগড় উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুপাইছড়ি পাড়ার সন্তাচরণ ত্রিপুরার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে খাগড়াবিল এলাকার হানিফ বাচ্চুর ছেলে সেটলার মোহাম্মদ হাসান(২৫) ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বকভাবে পার্শ্ববতী জঙ্গলে ধরে নিয়ে হাত পা বেঁধে দুই রাত এক দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রয়ারী) সকালে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিম কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
——————-

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More