লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ
রাঙামাটি : লংগদুতে ৪৪ জন পাহাড়ির নাম উল্লেখ করে গত ২১ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মাহবুব মিয়া কর্তৃক রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তিদেব চাকমা আজ ২৪ জুন ২০১৭, শনিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, উক্ত মামলাটি ২ জুন পাহাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রশাসন এবং পাহাড়িদের দায়েরকৃত মামলা দু’টির স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিভাবে করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১ জুন যদি সেরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জানা থাকার কথা। সংবাদপত্র অথবা অনলাইন মিডিয়াতেও তা প্রচার হওয়ার কথা। এমনকি কথিত ঘটনার সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা। কিন্তু গত ২১ জুন মামলা দায়েরের আগ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ তা কেউই জানতো না।
বিবৃতিতে শান্তিদেব চাকমা বলেন, ২ জুন লংগদুর তা-বলীলা ছিল পরিকল্পিত। পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে ভুমি দখলই ছিল এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়াতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পাহাড়িরা নিজ ভিটে-মাটিতে ফেরার প্রস্তুতি নিলে ২ জুন পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগকারী ভূমিদস্যুরা এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি দায়ের করেছে, যাতে পাহাড়িরা তাদের পোড়া ভিটেমাটিতে ফিরে আসতে না পারে।
অবিলম্বে লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ভুমি দস্যুদের কোন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বরদাস্ত করে হবে না। তিনি এ ধরণের হীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণসহ দেশের সকল সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
——————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।