লংগদুর ঘটনা তদন্তে কমিশন কেন নয়- জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

0

ঢাকা :  পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার স্থানীয় যুবলীগ নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতির নিরূপণ কমিশন কেন করবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
HH
আট সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাংগামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, রাংগামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), লংগদু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কমিশন বিষয়ে অগ্রগতি আগামী তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
Long
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে আগামী ৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।

লংগদুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত বৃহস্পতিবার সেখানকার বাসিন্দা, ক্ষতিগ্রস্ত, আইনজীবীসহ নয়জন রিট আবেদনটি করেন। আজ এটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সুলতান উদ্দিন ও এম মনজুর আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

স্থানীয় যুবলীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গত ২ জুন সকালে লংগদু উপজেলা সদরের চারটি গ্রামে পাহাড়িদের দুই শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হচ্ছে তিনটিলা, মানিকজোড়ছড়া, বাত্যাপাড়া ও বড়াদম। ঘটনার সময় দুই শতাধিক পাহাড়ি পরিবার পালিয়ে যায়।
______
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More