শিক্ষা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পিসিপির সমাবেশ ও র‌্যালি

0
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
 
“মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার নিশ্চয়তা, জীবনের নিরাপত্তা বিধান এবং খাগড়াছড়ির তাইন্দং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান” এই শ্লোগান নিয়ে আজ ১৭ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ( পিসিপি )ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করে। এতে ঢাকাস্থ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে তাইন্দং হামলার শিকার শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।কাল ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশের পর র‌্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী, মধুর ক্যান্টিন, কলা ভবন ও টিএসসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে থুইক্যচিং মারমার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিমন চাকমা, ক্ষতিগ্রস্ত তাইন্দং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রিপন চাকমা ও অর্পনা চাকমা।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নিরূপা চাকমা ও ছাত্র ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ লেনিন। সভা পরিচালনা করনে পিসিপির সাধারণ সম্পাদ বিলাস চাকমা।

ছাত্র ফেডারেশনে পারভেজ লেনিন তার বক্তব্যে পিসিপির ৫ দফা দাবীনামার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান এবং পাঠ্য পুস্তকে পাহাড়ি জনগণ সম্পর্কে অসম্মানজনক ও আপত্তিকর লেখা বাদ দেয়ার আহ্বান জানান।সভায় বগাপাড়ার ছাত্র রিপন চাকমা তাঁর বক্তব্যে তাইন্দং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দেন। তাইন্দ্ং হামলায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান। প্রাইমারি স্কুলের শিশুদের অন্তরে যে ক্ষোভ ও ঘৃনার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে দূর হবার নয় বলে মন্তব্য করেন।

তাইন্দ্ং হামলার শিকার সর্বেশ্বর পাড়ার অপর এক শিক্ষার্থী অর্পণা চাকমা তার নিজের মানসিক অবস্থার কথা তলে ধরেন। সারাক্ষণ অজানা ভীতি ও অনিশ্চয়তা তাড়িত করে বলে জানান। বাড়িঘর পুড়ে দেবার ফলে বাবা মা এলাকার বাইরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ঠিকমত টাকা পাঠাতে পারছেন না। বর্তমানে অনেক ছাত্রের শিক্ষা জীবন হুমকির সম্মূখীন। শিক্ষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে, কিন্তু তাইন্দ্ং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়ালে তার কোন গুরুত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন।

সভাপতির বক্তব্যে থুইক্যচিং মারমা ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আন্দোলনে যুক্ত হবার আহ্বান জনান এবং তাইন্দং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের পাশে পিসিপি সবসময় থাকবে বলে ঘোষনা দেন।

তাইন্দং হামলাকারীদের ভূমিদস্য দুবৃত্ত এবং তাদের গুজবের সাথে তাল মিলিয়ে রাঙামাটিতে তথাকথিত মানববন্ধন করায় তিনি সন্তু চক্রকে জাতীয় শত্রু  রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাহাড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পাহাড়ি রাজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

 

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More