শিক্ষা দিবসে মাটিরাঙ্গা ও গুইমারায় পিসিপি’র আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও গুইমারায় শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার পিসিপি’র মাটিরাঙ্গা শাখা ও গুইমারা শাখা পৃথক পৃথকভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভার ব্যানারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায্য কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার দাবি তুলে ধরা হয়।
‘মানবিক বিকাশের জন্য সুষ্ঠু শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেনা-পুলিশি নজরদারী ও হস্তক্ষেপ রুখো’ এই স্লোগানে সকাল ১১টায় মাটিরাঙ্গায় আয়োজিত আলোচনা সভায় পিসিপি’র মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি শান্ত চাকমার সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক হরি বিকাশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক পলাশ মার্মা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনি ত্রিপুরা ও পিসিপি গুইমারা উপজেলার সহ-সভাপতি শান্তি চাকমা।
একই দাবি ও শ্লোগানে গুইমারায় অনুষ্ঠিত আলোচনার সভায় পিসিপি’র গুইমারা উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন চাকমার সভাপতিত্বে ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক রেহেনা চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা অঞ্চলের সংগঠক এচিমং মারমা ও পিসিপি’র মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি অনিমেষ চাকমা।
সভায় বক্তারা ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটি ছাত্র-গণআন্দোলনের একটি প্রতীক। ১৯৬২ সালে এদিন তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চাপিয়ে দেওয়া গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ গর্জে উঠেছিল। আন্দোলন করতে গিয়ে সেদিন বাবুল, মোস্তফা ও ওয়াজীউল্লাহসহ অনেকে প্রাণ দিয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এদেশ থেকে এখনও বৈষম্য দূর হয়নি। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে এদেশের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্যমূলক ও নিপীড়নমূলক নানা কর্মকাণ্ড জারি রেখেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো সামরিক হস্তক্ষেপ জারি থাকায় সেখানে শিক্ষার্থীরা নানা নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে যে ন্যায্য কোটা ব্যবস্থা চালু ছিল সেটা বাতিল করেছে। ফলে এখন অনেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সামরিক হস্তক্ষেপমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।