সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে ইউপিডিএফ
নিজস্ব প্রতিবেদক,সিএইচটিনিউজ.কম
পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সভাপতি প্রসিত খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা আজ ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল ২০১১ পাস করায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং উক্ত বিতর্কিত গণবিরোধী বিলে স্বাক্ষর না দিতে রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় পঞ্চদশ সংশোধনীকে বাকশালী কায়দায় ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার প্রথম সরকারি পদক্ষেপ মন্তব্য করে বলেছেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার কারণে দেশে ভয়াবহ অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হবে ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত বেড়ে যাবে, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতির ওপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাসের সময় প্রতিবাদ না জানানোর কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সাংসদের অথর্ব ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন এবং সরকারের সংখ্যালঘু জাতিসমূহের জাতিগত পরিচিতি মুছে দেয়ার বিলে সমর্থন দেয়ায় তাদের ধিক্কার জানান৷ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, পার্বত্যবাসীর স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতেই এলাকাবাসী তাদের নির্বাচিত করেছিল৷ কিন্তু তারা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত মতা-সুযোগ-সুবিধা অক্ষুন্ন রাখতে নিজেদের জাতিসত্তার পরিচিতি বিসর্জন দিয়ে সরকারি দলের পাল্লা ভারি করে নিজেরাই প্রমাণ দিলেন তারা জনপ্রতিনিধি নন, পুরোপুরি সরকারি লোক।
সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় আগামীতে এ সরকারের কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার জন্য স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রী ও পার্বত্যবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিকে আরো বলা হয়, বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী বিল ২০১১ পাসের প্রতিবাদে স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ নিজ নিজ জাতিসত্তার স্বীকৃতির দাবিতে বিশেষ ব্যাজ ধারণ করবেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে অনির্দিষ্ট কাল যাবত্ লাল পতাকা উড্ডীন থাকবে।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলেও বিবৃতিকে উল্লেখ করা হয়।