Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
চট্টগ্রাম: দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন করে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপ গতকাল মঙ্গলবার ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বন্দর থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুবল চাকমা, সদস্য জসিম চাকমা, সুভাষ চাকমা ও রিগেন চাকমা বন্দরের ব্যারিস্টার কলেজ এলাকায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জাতীয় শিক্ষা দিবসের সমাবেশের জন্য সংগঠনের ছাপানো কুপন দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সন্তু গ্রুপের সুমন চাকমা, সিকু চাকমা ও বকুল চাকমার নেতৃত্বে ১০ – ১৫ জন সন্ত্রাসী স্থানীয় কতিপয় মাস্তানের সহায়তায় তাদের গণতান্ত্রিক সাংগঠনিক কাজে বাধা দেয় ও আটকে রেখে মারধর করে। পরে তাদেরকে বন্দর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এদের মধ্যে জসিম চাকমা স্মার্ট জ্যাকেট নামে সিইপিজেডের একটি ফ্যাক্টরিতে ও রিগেন চাকমা কর্ণফুলি ইপিজেডে এইচকেবি নামে অপর একটি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আছেন।
তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করার পর রাতে ইউপিডিএফের সদস্য বকুল চাকমা ও ডিওয়াইএফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুপ্রীম চাকমা তাদেরকে দেখতে গেলে সেখানে উপস্থিত সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে তাদের দু‘জনের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় এবং সুপ্রীম চাকমাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে রাতেই তাকে শুক্রমনি চাকমা ওরফে থুদো কারিগর হত্যা মামলায় আসামী বানিয়ে পটিয়া থানায় চালান দেয়া হয়।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বন্দর থানা শাখার সভাপতি বিজয় চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক টিটো চাকমা এক যুক্ত বিবৃতিতে তাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং আটককৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মহালছড়ি, দিঘীনালা এবং রাঙামাটির কুদুকছড়ি ও নান্যাচরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম বন্দর থানা শাখা ও জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের বন্দর থানা শাখার মধ্যে স্থানীয় বাঙালিদের মধ্যস্থতায় ও পুলিশের উপস্থিতিতে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত সমঝোতা মোতাবেক উভয় পক্ষ একে অপরের উপর হামলা না করতে ও বন্দর এলাকায় সংগঠনিক কার্যক্রমে বাধা না দিতে সম্মত হয়। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই সন্তু গ্রুপ উক্ত সমঝোতার শর্ত লঙ্ঘন করলো।