হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি না হলে ‘শান্তি শোভাযাত্রা’ করে কোন লাভ হবে না—তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
ইউপিডিএফ ভুক্ত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমেন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ২২ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি না হলে এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শান্তি শোভাযাত্রাশান্তি সভাকরে পার্বত্য চট্টগ্রামে কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না
রাঙামাটি শহরে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রাকেলোকদেখানো এবং প্রকৃত অপরাধী ও তাদের মদদদাতাদের আড়াল করার ব্যর্থ অপচেষ্টা মন্তব্য করে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিপূর্বেও পাহাড়িদের ওপর হামলার পর প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনেক শান্তি মিছিল হয়েছে, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি, পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি স্থাপিত হয়নিবরং উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীটি প্রশ্রয় পেয়ে বিষাক্ত ফণা তুলে নিরীহ শান্তিপ্রিয় জনগণের বুকে নতুন করে ছোবল মেরেছে
যারা শান্তি হরণকারী, যারা প্রকাশ্যে পাহাড়ি-বাঙালি বিদ্বেষ ছড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আকাশ বাতাস দূষিত করে তাদের রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়, সেই উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমেই একমাত্র শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে
নেতৃবৃন্দ রাঙামটিতে পাহাড়ি ও বাঙালি জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কতিপয় আশু পদপে গ্রহণের সুপারিশ করেছেনএগুলো হলো অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, উগ্রজাতীয়তাবাদী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পাহাড়ি বিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধ করা এবং পুলিশসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত পাহাড়িদের সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More