রামগড়ে পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলার নিন্দা ইউপিডিএফ’র

0

খাগড়াছড়ি : ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক সচিব চাকমা আজ ৩০ এপ্রিল সোমবার এক বিবৃতিতে জেলার রামগড় সদর ইউনিয়নের লালছড়ি সাধু পাড়ায় সাম্প্রদায়িক সেটলার হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও এক পাহাড়িকে অপহরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি দাবি করেছেন।

উক্ত হামলাকে ‘অত্যন্ত বর্বরোচিত, ন্যাক্কারজনক ও দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে খাগড়াবিল থেকে ৬০-৭০ জন সেটলার ‘সন্ত্রাসী’ খোঁজার নামে উক্ত গ্রামে হানা দিয়ে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও তল্লাশী চালায়। সেটলারদের হামলার আগাম খবর পেয়ে পূর্ণ কুমার ত্রিপুরার ছেলে বজ্র কুমার ত্রিপুরা (৪৫) ছাড়া বাকি গ্রামবাসীরা পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। হামলাকারীরা পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং সেই পর থেকে তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।’

হামলায় বিশু কুমার ত্রিপুরার ছেলে বরেন্দ্র ত্রিপুরার (৩২) বাড়িসহ ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ইউপিডিএফ নেতা দাবি করেছেন।

হামলাকারীদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে সচিব চাকমা বলেন, ‘ইতিপূর্বে বহুবার পাহাড়িদের গ্রামে হামলার পরও কোন অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে না আসার কারণে এভাবে সেটলাররা বার বার হামলা চালানোর দুঃসাহস পাচ্ছে।’

তিনি এ হামলার জন্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও ‘নিরাপত্তা বাহিনী’ কোনভাবে দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেন।

ইউপিডিএফ নেতা যুগের পর যুগ ধরে একই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তির প্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার জন্য প্রত্যেক পাহাড়ি গ্রামে সশস্ত্র গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
————————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More