কল্পনা চাকমা সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অবমাননাকর রিপোর্ট প্রকাশের প্রতিবাদে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ
বক্তারা অপহৃত কল্পনা চাকমা সম্পর্কে আজগুবি, উদ্ভট, বানোয়াট ও অসত্য তথ্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে আবুল খায়ের কর্তৃক তৈরিকৃত “পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়ছে” শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত [৫ জুলাই] রিপোর্টে ‘কল্পনা চাকমা‘ সম্পর্কে জঘন্য মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং তাকে চরম অপমান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কাহিনী বানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভূমি বেদখল বিরোধী আন্দোলনসহ অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই রিপোর্টে নিরাপত্তা বাহিনীর গুণকীর্তন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের উপর সেনা খবরদারি-নজরদারি ও নিপীড়ন নির্যাতন বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগানো হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে এটা একটা সুগভীর চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
বক্তারা আবুল খায়েরকে হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সঠিক ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী কল্পনা চাকমার অপহরণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা ধামাচাপা দেয়ার জন্য শুরু থেকে কতিপয় ভাড়াটিয়া সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন দিয়ে মিথ্যাচার করে আসছে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের কল্পনা চাকমার অপহরণ ঘটনাকে কখনো অপহরণকারী লেঃ ফেরদৌসের সাথে তার প্রেমঘটিত ব্যাপার, কখনো কল্পনা চাকমা ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে বৈধভাবে দেশের বাইরে গেছেন, কখনো তাকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গণ্ডাছড়ায় পাওয়া গেছে, কখনো অধুনালুপ্ত শান্তিবাহিনী তাকে লুকিয়ে রেখেছে বলে সেনাবাহিনী ও তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন প্রমাণ সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থা দিতে পারেনি।