খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে চার সংগঠনের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়িতে সেটলার কর্তৃক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পাহাড়ের চার সংগঠন চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের যৌথ উদোগে মিছিল শেষে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের নগর শাখার সভাপতি রেশমি মারমার সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নগর শাখার নেতা জিকো চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নগর শাখার সহ-সভাপতি শুভ চাক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার নেতা রোনাল চাকমা।
বক্তারা খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় বলপিয়ে আদামে সংঘটিত গণধর্ষণ ঘটনার দুই দিনেও অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী ধর্ষণের শিকার হলে বরাবরেই অপরাধীদের আড়াল করা হয়। এ ঘটনায়ও জড়িতদের রক্ষায় কোন টালবাহানা করা হচ্ছে কি-না তা নিয়ে বক্তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়ি নারীরা নিজের ঘরেও আর নিরাপদে ঘুমাতে পারছে না। নিজের ঘরে ঢুকে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ৯ জন সেটলার দুর্বৃত্ত মিলে হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। এর চেয়ে বর্বরতা আর কী হতে পারে? শুধু তাই নয় দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ শেষে বাড়ির টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারও লুটে নিয়েছে। কিন্তু পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারে যেন নির্বিকার রয়েছে।
বক্তারা বলেন, গত এক মাসে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বেশির ভাগ ঘটনায় অপরাধীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ধর্ষণকারী দুবৃর্ত্তরা ক্ষমতাশালী লোকজনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার কিংবা বিচার হচ্ছে না। এই বিচারহীনতার কারণেই পার্বত্য নারী ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে বৈ কমছে না।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেটলারদের সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান।