খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকায় পিসিপি ও শ্রমজীবী ফ্রন্টের বিক্ষোভ

0

ঢাকা ।। খাগড়াছড়ি সদরে বলপিয়ে আদামে ডাকাতি, লুটপাট ও পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণের সাথে জড়িত সেটলারদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (শ্রমজীবী ফ্রন্ট)।

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় মিছিলটি টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে শেষ হয়।

 মিছিলের পূর্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিসিপির দপ্তর সম্পাদক রজেন্টু চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, কেন্দ্রীয় সদস্য রতন স্মৃতি চাকমা ও পিসিপি সভাপতি বিপুল চাকমা।

বক্তরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে যেভাবে নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তার অংশ হিসেবে গত বুধবার দিবাগত রাতে খাগড়াছড়িতে আবার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল। রাষ্ট্রীয় মদদ ছাড়া এই ধরনের সিরিজ অপরাধ ঘটানো সম্ভব নয়।

শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণকে জাতিগত নিপীড়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বক্তরা বলেন, খোদ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ধর্ষণের পর অপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে। তাই অপরাধীদের না ধরে, যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের ঘটনার পর অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ফলে নারী নিপীড়ন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ক্রমাগত বাড়ছে অভিহিত করে বক্তরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত যত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তাতে কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। এই বিচার না হওয়ার কারণে অপরাধীরা বারবার একই অপরাধ সংঘটিত করার সাহস পাচ্ছে । এর নেতিবাচক প্রভাব সমতলেও সমানভাবে পড়ছে।

তারা বলেন, ১৯৯৬ সালে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা লে: ফেরদৌস কর্তৃক অপহরণের বিচার হলে অপরাধের তালিকা এত লম্বা হতো না। খাগড়াছড়ি গণধর্ষণের ঘটনার বাদেও সম্প্রতি বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক পাহাড়ি ত্রুনী, খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক স্কুল পড়ুয়া পাহাড়ি ছাত্রী এবং সাজেক ও পানছড়ির মরাটিলায় নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনটিই সেভাবে পত্র পত্রিকায় আসেনি। বরং প্রশাসন বরাবরই এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রচেষ্টা করে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

বক্তরা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More