খাগড়াছড়িতে পিসিপি’র ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর ডাকে আজ ১১ নভেম্বর সোমবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা (সকাল-৬টা থেকে সন্ধ্যা-৬টা) সড়ক অবরোধ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালিত হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে বাধাদান, দেয়াল লিখন মুছে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা, বাঙালি জাতীয়তা আরোপ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে সমাজের বিভেদ সৃষ্টি, সেনা নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি, জনগণকে হয়রানি তথা সরকারের অব্যাহত ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এ সড়ক অবরোধের ডাক দেয়।
সড়ক অবরোধ চলাকালে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও মহালছড়িতে ক্যায়াংঘাট এলাকায় আ’লীগ সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন, পশ্চিম ক্যায়াংঘাট বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রীতি শংকর চাকমা এবং তার স্ত্রী ও পুত্র যথাক্রমে সান্ত্বনা চাকমা ও ব্যাবিলন চাকমা, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী করুণা চাকমা, ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র গুল চাকমা ও জুয়েল চাকমা। এ সময় আতঙ্কে লিলি চাকমা নামের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এছাড়া আরো বেশ কয়েজন ছাত্র মারধরের শিকার হয়েছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক বিলাস চাকমা এক বিবৃতিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আগামীতে এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আবারো সকলের সহযোগিতার প্রত্যাশা করেন তারা।
নেতৃদ্বয় সকল ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হয়ে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তারা মহালছড়িতে ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলাকারী আ’লীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যে নতুনত্ব কিছুই নেই উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা আড়াল করে কিছু উন্নয়ন কাজ ও ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার, প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ও বেদখলকৃত ভূমি ফিরিয়ে দেয়া, সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সমতলে সম্মানজনক পুনর্বাসন পূর্বক পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রদান করতে হবে।
নেতৃদ্বয় শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ফ্যাসিবাদী ও গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি বলেও মন্তব্য করেন।