খাগড়াছড়ির গণধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাজেকে বিক্ষোভ

0

সাজেক প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ি সদরের বলপিয়ে আদামে পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণ ও ডাকাতি-লুটপাটে জড়িত সেটলারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে রাঙামাটির সাজেকে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সাজেকের বাইবাছড়া স্কুল মাঠে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, সাজেক সচেতন নারী সমাজ ও সাজেক এলাকাবাসীর যৌথ ব্যানারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে কমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক শাখার সাধারণ সম্পাদক কালো বরণ চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য শুদ্ধজয় চাকমা, সাজেক সচেতন নারী সমাজের সদস্য তাপসি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাজেক শাখার সভাপতি রূপায়ন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা খাগড়াছড়ি সদরে গণধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, কতটা বর্বর হলে ৯ জন মিলে একজন অসহায় নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে পারে? এই ঘটনা প্রমাণ করে সেটলার বাঙালিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে কী জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকার যুগ যুগ ধরে তাদেরকে রেশন দিয়ে রেখে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। যার কারণে তারা নারী ধর্ষণ, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলাসহ পাহাড়িদের উপর নানা অত্যাচার চালাচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করলেও বাকী ২ জনকে এখনো গ্রেফতার করেনি। অবিলম্বে পলাতক দুইজন অপরাধীকেও গ্রেফতার করতে হবে।

তারা বলেন, পুলিশের ভাষ্যমতে গ্রেফতারকৃতরা অতীতেও বহু অপরাধে জড়িত ছিল, জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই তারা এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই অপরাধীদের শুধু গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করলে হবে না, তাদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীর উপর যে নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে তা সরকারের জাতিগত নিপীড়নেরই অংশ। যার কারণে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা পাহাড়ি নারী ধর্ষণ বিষয়ে কোন কথা বলেন না। অথচ তারা সিলেটে সংঘটিত গণধর্ষণ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির কথা বলছেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা খাগড়াছড়ির বলপিয়ে আদামে সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত ঘটে যাওয়া নারী ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার এবং পাহাড় ও সমতলে নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More