খাগড়াছড়িতে আইন শৃংখলা সভায় উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা

0

khagrachariখাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আইন শৃংখলা বিষয়ক নিয়মিত মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় গত ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ইং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা সমন্বয়ক উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমাকে গ্রেপ্তারের পরে অমানবিকভাবে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও অপমানজনকভাবে তার ছবি প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা’র অপরাধ থাকলে বা তার নামে মামলা থেকে থাকলে তাকে নিশ্চয়ই আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করবে। কিন্তু তাকে আটকের পরে মারধর করা হয়েছে ও তার আটকের ছবি অপমানজনভাবে মিডিয়ায় প্রদান করা হয়েছে। তিনি শুধুমাত্র একজন ইউপিডিএফ সদস্যই নন, তিনি খাগড়াছড়ি এলাকার একজন পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও একইসাথে গত ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, অন্তত এই দিকটি বিবেচনা করে তার সাথে মানবিক ও সম্মানজনক আচরণ করা প্রয়োজন ছিল। এসময় চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক একটি দল, তাছাড়া সংগঠনটিকে নিষিদ্ধও করা হয়নি।

উক্ত মাসিক আইন শৃংখলা বিষয়ক সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তি এস এম শফি বলেন, এখানে আমরা সবসময় সত্য কথা বলতে ভীতসন্ত্রস্ত থাকি।

পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা সভায় বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা সাম্প্রদায়িকভাবে পক্ষ-বিপক্ষ বিষয়টি ভাবতে পারি না। তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তি মর্যাদা অধিকার ও সম্মানবোধ আছে এবং তা ভোগ করা তার অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেখা গেছে, বলপ্রয়োগ করে কোন সমস্যার সমাধান করা যায়নি।

পরবর্তিতে খাগড়াছড়ি জেলার এসপি মি. আব্দুল মজিদ তার বক্তব্যে ‘দ্বিচারিণী’ ভুমিকা রাখা সংক্রান্ত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন যে, যে ব্যক্তি অপরাধী বা যার নামে মামলা রয়েছে তাকে গ্রেপ্তার সমর্থন করা ও একইসাথে তার ‘বিরোধিতা’ করা ‘দ্বিচারিণী’ বা দ্বিচারিতামূলক ভুমিকা গ্রহণ করারই মতো।

আইন শৃংখলা বিষয়ক উক্ত সভা সকাল ১১.৩০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে। সভার শেষের দিকে সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান সবাইকে মিলে একসাথে কাজ করার দিকে গুরুত্বারোপ করে সভার কার্যক্রম শেষ করেন।

উক্ত সভায় খাগড়াছড়ি জেলার প্রত্যেক উপজেলা থেকে প্রশাসনিক-নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, মানননীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, জেলা পরিষদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

—————–

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More