খাগড়াছড়িতে সমাবেশে সেনা-পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে পিসিপি’র বিক্ষোভ
সিএইচটি নিউজ ডটকম
মানিকছড়ি : খাগড়াছড়িতে ৮ গণসংগঠনের আয়োজিত জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ফিলিস্তিন সংহতি দিবসের’ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সেনা-পুলিশ হামলা চালিয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা ও সদস্য দ্বিতীয়া চাকমাকে আটকের প্রতিবাদে এবং আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানিকছড়ি সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) মানিকছড়ি কলেজ শাখা।
সোমবার(৩০ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় মানিকছড়ি সদর সুধিরখীল বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে প্রাইমারী স্কুল প্রদক্ষিন করে আবার বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা অর্থ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও পিসিপি মানিকছড়ি কলেজ শাখার সহ সভাপতি রেশমি মারমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ’ফিলিস্তিন সংহতি দিবসের’র সাথে একাত্মতা প্রদর্শন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে সংহতি জানিয়ে গতকাল খাগড়াছড়ি সদরে তিনটি স্থানে পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনরত ৮ গণতান্ত্রিক সংগঠনের ছাত্র-যুব-নারী সংহতি সমাবেশ চলাকালে সেনা-পুলিশ হামলা করে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরুপা চাকমা, সদস্য দ্বিতীয়া চাকমা সহ চার জনকে আটক করে নিয়ে গিয়ে প্রমান করেছে আসল যুদ্ধপরাধী কারা। সমাবেশে হামলা করে তারাই চরম যুদ্ধপরাধীর পরিচয় দিয়েছে।
বক্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক ১১ নির্দেশনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিবাদ জানানো ও সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সরকার সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে জনগনের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে।
বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ফিলিস্তিনে যেভাবে ইসরাইল নিপীড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে একইভাবে বাংলাদেশ সরকার সেনা সেটলার দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ‘৭১ সালে হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য পাকিস্তানকে যেমনি ক্ষমা চাইতে
হবে তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের উপর নিপিড়ন নির্যাতন ও গণহত্যার জন্য সেনা-সেটলারদের
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে স্বরাস্ট্রমন্ত্রনালয়ের অ-গণতান্তিক ১১ নির্দেশনা বাতিলসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত যুদ্ধপরাধী সেনা- সেটলারদের বিচার এবং আটক হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
——————————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।