খাগড়াছড়িতে হুয়াঙ বোইও-বা’র বইমেলা সম্পন্ন

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম

বইমেলা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ
বইমেলা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ

খাগড়াছড়িতে বেসরকারী পাঠাগার হুয়াঙ বোইও-বা (অগ্রসর চিন্তার কেন্দ্র) আয়োজিত ৮দিন ব্যাপী ১২তম বইমেলা আজ ৭ মার্চ শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে।

বইমেলা সমাপনী উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল ৪টায় হুয়াঙ বোইও-বা প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত  চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা ও লক্ষীছড়ি উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা। খাগড়াছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেপোলিয়ন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ধীমান খীসা ও পেরাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিম্বিসার খীসা। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হুয়াঙ বোইও-বা’র সাধারণ সম্পাদক ও বইমেলা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জেমিন চাকমা।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী এক শিশুকে পুরস্কার দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী এক শিশুকে পুরস্কার দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোল্লা মিজানুর রহমান হুয়াঙ বোইও-বা’র উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও এই আয়োজনে আমি খুবই অভিভূত হয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে সমাজে আলোকিত মানুষ গড়ে উঠবে।

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, হুয়াঙ বোইও-বা কর্তৃপক্ষকে আরো সচেতন হয়ে এ কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে হবে। তিনি পাঠক ফোরাম গঠন ও প্রকাশনা বের করারও পরামর্শ দেন।

তিনি আরো বলেন, বই ছাড়া জ্ঞানের মাধ্যম খুবই কম। বই না পড়লে অর্ন্তচক্ষু খোলো না। অর্ন্তচক্ষু দিয়ে আমরা অনেক দূর দেখতে পারি। তাই বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ভালো উদ্যোগ কখনো বৃথা যায় না। যদি কোন একটি ভালো কাজে লেগে থাকা যায় তাহলে তার সফলতা আসবেই। হুয়াঙ বোইও বা পাঠাগারটি ছোট হলেও ভবিষ্যতে এটি আলোকিত মানুষ গড়ার একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

তিনি প্রশাসনিক যে কোন ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, আগামীতে শিশুদের বইপড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যে সকল শিশু বই পড়বে মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।

ধীমান খীসা বলেন, বইপড়া হচ্ছে বিনোদন এবং জ্ঞানার্জনের সর্বোকৃষ্ট মাধ্যম। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কারণে বই পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে জ্ঞান অর্জন করতে গেলে বই পড়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

বিম্বিসার খীসা বলেন, একটি পাঠাগার সবসময় জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞান বিতরণ করে থাকে। আমরা যদি শিশুদের জ্ঞান অর্জন করাতে চাই, তাহলে হুয়াঙ বোইও-বা’র সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, বই পড়লে প্রতিভার বিকাশ ঘটায়, জ্ঞান অর্জিত হয়। সেজন্য বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More