খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ৪দিন ব্যাপী বৈসাবি অনুষ্ঠান শুরু
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি(বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু)উপলক্ষে সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আয়োজনে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ৯-১২এপ্রিল ৪দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
“আসুন বৈসাবির চেতনায় জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হই”–এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় ৪ দিনব্যাপী বৈসাবি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানও সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কিরণ মারমা।
মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ধ‘ খেলা দিয়ে খেলাধূলার উদ্বোধন করা হয়। সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সন্মানিত সদস্যগণ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ধ‘ খেলায় ব্যবহৃত ধ‘মেরে খেলা উদ্বোধন করেন যথাক্রমে অধ্যক্ষ মধুমঙ্গল চাকমা, অধ্যক্ষ বোধিসত্ত দেওয়ান, বি কে রোয়াজা, সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা বিনোদ বিহারী চাকমা, বিশিষ্ট মুরুব্বি জ্ঞান বিকাশ চাকমা, অমৃতলাল চাকমা, জুম্ম শরনার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বৈসাবি উপলক্ষ্যে ৪দিন ব্যাপী খেলাধূলা আয়োজন করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে স্টেডিয়াম বরাদ্দের আবেদন করার পরও স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেতে নানাধরণের হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে, নানা জায়গায় বারবার ধরণা দিতে হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাত্র একদিন আগে গতকাল দুপুরে স্টেডিয়াম ব্যবহার করা যাবে বলে জেলাপ্রশাসন দপ্তর থেকে জানানো হয়। ফলে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
বক্তারা ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি আয়োজনের প্রাক্কালে প্রশাসন ও সরকারের এ ধরণের আচরণ, হয়রানী ও টালবাহানার তীব্র সমালোচনা,ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন আয়োজক কমিটির সদস্যগণ। আয়োজকগণ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈসাবি অনুষ্ঠান আয়োজনের পূর্বে প্রশাসনের এ ধরণের আচরণে তারা যারপরনাই বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন। প্রশাসনের এ ধরণের টালবাহানা ও হয়রানী আয়োজকগণের কাছে প্রত্যাশিত ছিলোনা বলে তারা মন্তব্য করেন।