পার্বত্য চুক্তির ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউপিডিএফের বিবৃতি

চুক্তি নিয়ে তামাশা না করে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন মেনে নিন

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য সচিব চাকমা আজ ১ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে পার্বত্য চুক্তি নিয়ে তামাশা বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মৌলিক দাবিগুলো পূরণের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

bibritiতিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে জনগণের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলেও, ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি দিবসটি সরকার, সেনাবাহিনী ও দালালদের আনন্দ উৎসবের এক জঘন্য উপলক্ষে পরিণত হয়েছে। এদিন তারা আনন্দ র‌্যালী, শোভাযাত্রা, কনসার্ট ইত্যাদি আয়োজনের নামে জনগণের সাথে ব্যঙ্গ করছে।’

সচিব চাকমা বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির আগে ১৯৮৫ সালেও বাংলাদেশ সরকার জনসংহতি সমিতির প্রীতি গ্রুপের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং সে চুক্তিতেও বর্তমান চুক্তির মতো অনেক মন ভোলানো ও সুন্দর সুন্দর কথা লেখা ছিল; কিন্তু সরকার সেই চুক্তিও বাস্ত্মবায়ন করেনি।’

চুক্তি স্বাক্ষরের ১৯ বছর পরও পাহাড়ে শান্তি আসেনি উলেস্নখ করে তিনি আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন কোথাও শান্ত্মি ও নিরাপত্তা নেই। গ্রেফতার, নির্যাতন, হয়রানি, তল্লাশি, নারী ধর্ষণ, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলা ইত্যাদি এখন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ সব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করা যায় না। কারণ এখানে জনগণের কোন গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। সভা সমাবেশের উপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারী রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় এখন জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে একটি অসম্পূর্ণ ও প্রতারণামূলক চুক্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এই চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মৌলিক দাবিগুলোর কোনটিই পূরণ করা হয়নি। এ কারণে দীর্ঘ ১৯ বছর পরও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। তাছাড়া এই অসম্পূর্ণ চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যায় না। এক কথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আন্দোলন ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই ১৯৯৭ সালে চুক্তি করা হয়েছিল, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নয়।’

সচিব চাকমা সরকারের চুক্তি বাস্তবায়নের আশ্বাসকে মিথ্যা ও ভাওতাবাজী আখ্যায়িত করে জনগণকে এতে বিশ্বাস স্থাপন না করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
—————

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More