টেকনাফের আমতলী চাকমা গ্রামে ভূমি দস্যু ও পুলিশী হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
কক্সবাজার : টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যঙ ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে গত২৯ ও৩০ মে প্রভাবশালী ভূমি দস্যু আব্দুল হক বাহিনী ও পুলিশের যৌথ হামলার বিচারের দাবিতে উখিয়া-টেকনাফের ১২টি চাকমা গ্রামের জনগণ কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
আজ ৬ জুন বুধবার দুপুর ১টায় টেকনাফের আমতলী গ্রামের চাকমা পল্লীতে প্রভাবশালী ভূমি দস্যু কর্তৃক হামলা ও ভূমি আত্মসাৎ প্রচেষ্টা, পুলিশী হয়রানি, নারী বৃদ্ধার উপর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির বিচারদাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওরাঙ্গ চাকমা। এ সময় সংহতি জানয়ে আরো বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক চরণ সিং তঞ্চঙ্গ্যা ও কক্সবাজার জেলা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি ও পরিবেশ আন্দোলনেরকক্সবাজার জেলা সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম। মানববন্ধনে প্রায় ১৫০ জন এলাকার নারী-পুরুষ বিভিন্ন দাবির ব্যানার নিয়ে অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় ভূমি দস্যু কর্তৃক চিংপুঅংসহ সাত ভাইয়ের ভূমি আত্মসাত ও জবরদখল প্রচেষ্টা বন্ধ করা, ভূমি দস্যু আব্দুল হক ও তার দলবলের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া, ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এ যাবত আব্দুল হক ও তার দলবল কর্তৃক যে সমস্ত হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে সে সকল মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত ৭ জনের নিঃশর্ত মুক্তি, আমতলী গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও উখিয়া টেকনাফে বসবাসরত ১২ গ্রামের চাকমা অধিবাসীরা যাতে নিরাপদ, নিরুপদ্রপ ও শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ও ৩০ মে দু’দফায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যঙ ইউনিয়নের আমতলী চাকমা গ্রামে আসামী ধরার নামে ভূমি দস্যু আব্দুল হকের সহযোগী হিসেবে নিকটবর্তী পুলিশ ফাঁড়িথেকেএকদল পুলিশ ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। এ সময় পুলিশের নির্যাতনে এক গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত সহ অন্তত ৬/৭ জন মহিলা ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ কয়েকজন তরুণীর শ্লীলতাহানি ঘটায়।এ সময় পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে উছা থাইন চাকমা, ছাত্রা খোচাইন চাকমা, অংজা চাকমা ওরনয়ন ও ছা থোয়াই চিং চাকমাকে আটক করে নিয়ে যায়।