ঢাকায় পিসিপি’র শিক্ষা দিবস পালিত

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Dhaka, 17.09.2014ঢাকা: মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু সহ শিক্ষা সংক্রান্ত ৫দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার এক মিছিল বের করে। পিসিপি ঢাকা শাখা কর্তৃক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে কলাভবন, রাজু ভাস্কর্য ও টিএসসি প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে সমাবেশের রূপ নেয়।

পিসিপি ঢাকা শাখার সভাপতি ত্রিশঙ্কু খীসার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিনয়ন চাকমার পরিচালনায় এতে সংহতি বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এমএম পারভেজ লেনিন, ছাত্র গণমঞ্চের নেতা শান্তুনু সুমন ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেত্রী কইজনা মারমা। পিসিপি’র পক্ষ থেকে বক্তব্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অঙ্কন চাকমা।

বক্তারা পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫দফা দাবি’কে অত্যন্ত ন্যায্য যৌক্তিক দাবি হিসেবে মন্তব্য করেন এবং অবিলম্বে এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট আহ্বান জানিয়েছেন।  তারা বলেন, মূল দাবি পাশ কাটিয়ে রাঙ্গামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নামে প্রকারান্তরে পাহাড়ে নব্য সেটলার পুনর্বাসনের সুগভীর ষড়যন্ত্রে সরকার লিপ্ত রয়েছে, যার পরিণাম শুভ হবে না বলে বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। তারা বলেন, শিক্ষা অধিকার প্রতিষ্ঠাই শেষ কথা নয়, নিজ বাস্তুভিটা বংশপরম্পরার জায়গা-জমি থেকে বিতাড়িত হলে শিক্ষার কোন মূল্য থাকবে না। পাহাড়ি জনগণের প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি তথা পূর্ণস্বায়ত্তশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত সমাধান।

বক্তারা ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস উপলক্ষে মাটিরাঙ্গায় পিসিপি’র শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আয়োজনে বাধা প্রদান করায় তারা স্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের মধ্য বেতছড়িতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা বেদখলের ঘটনার সাথে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্ধন রয়েছে বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।

বক্তারা দিনাজপুর, নাক্ষ্যংছড়ি ও দীঘিনালা বাবুছড়ায় বিজিবি কর্তৃক জোর জবরদস্তি করে পাহাড়িদের জমিতে ক্যাম্প স্থাপনেরও তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তা বন্ধ করার জন্য সরকারের নিকট আহ্বান জানিয়েছেন।
————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More